ঝালকাঠির রাজাপুরে ঢাকার ব্যবসায়ীর মৃত্যুর রহস্য ফাঁস,হত্যা মামলায় স্কুল শিক্ষিকাসহ গ্রেপ্তার ২

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।।   মোঃ নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে তিনতলা ভবন হাজী মঞ্জিলের ছাদ থেকে পড়ে মো. আজিজুল হকের (৩৮) মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় আজিজুলের ছোট ভাই জাহিদুল হক রাজাপুর থানায় বাদী হয়ে ওই তিনতলা ভবনের ছাদের চিলেকোঠার ভাড়াটিয়া এক স্কুলশিক্ষিকা ও তাঁর বাবাকে আসামি করে হত্যা মামলাটি করেন।
আজ (শনিবার)সকালে বরিশালের স্টেডিয়াম এলাকার বঙ্গবন্ধু কলোনির বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সন্ধ্যায় তাঁদের ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজাপুর উপজেলার হাইজ্যাক মোড় এলাকায় হাজী মঞ্জিল নামের তিনতলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে আজিজুল হকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তাঁর পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে পরিচয়  জানা যায়, তিনি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের ছেলে। আজিজুল একসময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার প্রযোজনা বিভাগে কাজ করতেন।
আটক সন্দেহভাজন আসামি রাজাপুরের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সূত্রে রাজাপুরের ওই বাড়ির ছাদের চিলেকোঠার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, স্কুলশিক্ষিকার পায়ে সমস্যা থাকায় তাঁর বাবাকে নিয়ে প্রায়ই ঢাকায় চিকিৎসা করাতে যেতেন। ঢাকায় যাওয়ার সুবাদে আজিজুল হকের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং উভয়ের পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। আজিজুল হক ও ওই শিক্ষিকার মধ্যে সব সময় মুঠোফোনে কথা হতো। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকার বাবা তাঁর মেয়ের সঙ্গে অন্য এক ছেলের বিয়ে ঠিক করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আজিজুল হক শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে এসে ওই শিক্ষিকার রাজাপুরের হাজী মঞ্জিলের ছাদের চিলেকোঠার ভাড়া বাসায় হাজির হন। সেখানে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করার কারণে তিনি ওই শিক্ষিকার ও তাঁর বাবার কাছে কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাবা-মেয়ে মিলে আজিজুলকে মারধর করে তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ শব্দ পেয়ে বাসা থেকে বাইরে এসে দেখতে পান, তিনতলা ভবনের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় আজিজুল পড়ে রয়েছেন। এ সময় ওই ভবনের অন্যরাও বেরিয়ে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।
আজিজুল ওই ভবনের ছাদ থেকে পড়েছেন বা ফেলে দেওয়া হতে পারে। ওই ভবনের ছাদ থেকে আজিজুলের জুতা পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে স্কুলশিক্ষিকা পলাতক ছিলেন।’
এ বিষয় রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই হত্যা মামলার দুই আসামি স্কুলশিক্ষিকা ও তাঁর বাবা শহিদুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।সংবাদ প্রকাশঃ  ২৯১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email