মহানগর যুবলীগ নেতা সহিদ, পাভেল ও রিন্টুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।      কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ আহবায়ক সহিদ,সদর উপজেলা আলীগ নেতা পাভেল ও স্বেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি রিন্টুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এমনটা দাবী করে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন   কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক  তারিকুর রহমান জুয়েল।   ১৫ নভেম্বর সকালে কুমিল্লা ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন  হাবিবুর আল আমিন সাদী- যুগ্ম আহ্বায়ক- মহানগর যুবলীগ ও  সাদেকুর রহমান পিয়াস- সাধারণ সম্পাদক-মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সদস্য রোকন উদ্দিন। ।   সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন , গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে কুমিল্লা মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের পুরাতন চৌয়ারাবাজারে স্থানীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, যা খুবই বেদনাদায়ক, ঘৃণ্যকর একটি ঘটনা । কুমিল্লা মহানগর আ’লীগ, মহানগর যুবলীগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের পক্ষ থেকে এই হত্যাকান্ডটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লা সদরের অভিভাবক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা মাননীয় সাংসদের নির্দেশে কুমিল্লার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দুযোর্গ সময়ে আমরা সকল শ্রেণির মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে জনহিতকর কাজ করছি। আমরা হত্যা, চাদাঁবাজ, মাদক, কলহের বিরুদ্ধে । অথচ একটি ষড়যন্ত্রকারি গ্রুপ যারা সব সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকে, তারাই মহানগর আ’লীগের কর্ণধার ও মহানগর যুবলীগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আর্দশ সদর আ’লীগের নেতৃত্বকে কলুষিত করার জন্য জিল্লুর হত্যাকান্ডে জড়িত করেছে।
আপনারা জানেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী গত এক সপ্তাহ ধরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার সময় আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ ভোর থেকে মহানগর আ’লীগের পার্টি অফিসে যুবলীগের প্রতিবার্ষিকীর নানান আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়িত করা নেতৃবৃন্দসহ যারা উক্ত মামলার বিষয়ে নানা রকম কুটকৌশলে লিপ্ত সকলের মোবাইল ট্র্যাকিং ও ভয়েস রেকর্ড সংগ্রহের মাধ্যমে উক্ত ঘটনায় প্রত্যেকের অবস্থান ও তাদের সম্পৃক্ততা নিরূপণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তারিকুর রহমান জুয়েল তার লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,    আফজল খান ও তার ছেলে-মেয়ে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা। বিগত সময়ে তারা বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শংকর, হামিদ, টিটু, জালাল, সাইফুল হত্যাকান্ডসহ নানা অপকর্মে জড়িত। ইমরান হত্যা ও অস্ত্র মামলায় জড়িত ছিলেন এবং অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালে ২০ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত হন। কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি এম সাইফুল ইসলাম প্রধানের হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারি ও প্রধান আসামী এই ইমরান খান। আফজল খানের ছেলে আরমান খান দেবিদ্বার পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি টিটুকে বন্ধুত্বের সুযোগে হত্যা করে নগরীর ঠাকুরপাড়ার পরিত্যক্ত বাড়ির সেফটি ট্যাংকে গুম করে। তার বোনকে সংরক্ষিত আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি বানানোর পর সে আবার অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে নানারকম অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। কথিত আছে যে, আফজল খান দৌলতপুরের হামিদের জমিতে ব্রিকফিল্ড বানিয়ে পরবর্তীতে জমির দখল না ছেড়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে হত্যা করে। জায়গা দখলে চ্যাম্পিয়ন খাঁন পরিবারের অত্যাচারে বহু সংখ্যালঘু পরিবার কুমিল্লা ছেড়ে চলে গেছে বলে কথিত আছে।
হত্যা রাজনীতিতে সেরা পরিবারই আজ ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। আমরা সন্দেহ করছি হত্যা মামলা সৃষ্টি করে রাজনীতির ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় কেউ উক্ত হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে। কারণ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে সকাল সাড়ে ৭ টায়। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণার পর প্রায় সাথে সাথে কান্দিরপাড়ে ইমরান খানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ডিজিটাল ব্যানারসহ একটি মিছিল করে। এতেই বিষয়টি পূর্ব পরিকল্পিত বলে প্রতীয়মান হয়।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে, মামলা দায়েরের প্রায় ১৪ ঘন্টা আগে সীমা ও ইমরান খান প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদের নাম উল্লেখপূর্বক নানা প্রকার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে যা ষড়যন্ত্রের নীল নকশা বলে প্রমাণিত হয়। এছাড়া মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহিরুল হক রিন্টু ও আর্দশ সদর উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেলকে এই হত্যাকান্ডে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জড়িয়েছে, যা অবশ্যই নিন্দনীয়।

সাংবাদিক সমেলনে অভিযোগ প্রসঙ্গে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান সিটিভি নিউজকে বলেন ,সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে নির্দোষ বললেই কেউ নির্দোষ হয়ে যায়না। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলেই প্রমান পাবে। আর ঐদিন যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের জন্যে পূর্ব ‍নির্ধারিত কর্মসূচী ছিল।  নিহত জিলানী যুবলীগের সমর্থ ক ও কর্ম ী ছিল, সে আফজল খান ও সীমা এমপির অনুসারী ছিল।   জিলানী হত্যা হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায় আর  আমরা দুপুর দেড়টার দিকে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছি। এখনকার যুগে ব্যানার তৈরী করতে ১ঘন্টা সময় লাগে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email