সিটিভি নিউজ।। মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :- সময় বাড়িয়েও মহাদেবপুর সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য বিভাগ। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় চাল দিতে পারেননি মিলাররা। আর বাজারে ধানের দাম বেশি পেয়ে সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারিয়েছে কৃষকরা। বর্ধিত সময় অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর সংগ্রহ অভিযানের শেষ দিন পর্যন্ত মহাদেবপুরে বরাদ্দের মাত্র ৭০ শতাংশ চাল সংগ্রহ হয়েছে। মিলারদের দাবি, সরকার ধান অপেক্ষা চালের দাম কম নির্ধারণ করায় প্রতি কেজিতে ৬ টাকা লোকসানের কারণে চুক্তি করেও চাল পরিশোধ করতে পারেননি তারা। এছাড়া মৌসুমের শুরু থেকেই করোনা এবং বৃষ্টির কারণেও চাল তৈরির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ শওকত জামিল প্রধান বলেন, ‘চুক্তি করেও যারা চাল সরবরাহ করেননি তাদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ বোরো মৌসুমে এবার মহাদেবপুরে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৫শ’ মেট্রিক টন। অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের মাত্র ১১ ভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। একইভাবে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেন উপজেলার ৩৪৪ জন মিলার। কিন্তু ৭ মে থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিলাররা সরকারি খাদ্য গুদামে ১৩ হাজার ৮শ’ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছেন।
মিলারদের অভিযোগ, সরকার ধানের সঙ্গে চালের সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম নির্ধারণ না হওয়ায় এবার বোরো মৌসুমে তাদের লোকসান হয়েছে। একই সময়ে ধান এবং চাল কেনার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস এবং দীর্ঘমেয়াদী বর্ষায় চালকল মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবার বোরো চাল সরবরাহে বিঘœ ঘটেছে। তারা বলেন, সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনলেও প্রতি কেজি সিদ্ধ চালের দাম নির্ধারণ করেছে ৩৬ টাকা। অথচ দেড় কেজি ধান থেকে চাল উৎপাদন হয় এক কেজি। ধানের দামের তুলনায় সে ক্ষেত্রে চালের সর্বনি¤œ দাম হয় ৩৯ টাকা। ফলে বাজারে দিন দিন ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোটা অঙ্কের লোকসান এড়াতে উপজেলার মিল মালিকরা চুক্তি করেও খাদ্য গুদামে সঠিকভাবে চাল সরবরাহ করতে পারেননি। চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ বেলাল উদ্দীন বলেন, আমাদের চাল উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। সেখানে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল নিচ্ছে মাত্র ৩৭ টাকা কেজি দরে। এতে তাদের কেজি প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা লোকশান হচ্ছে। এমনিতেই চালকলে আগের মত ব্যবসা না হওয়ায় চালকল মালিকগণ ব্যাংক ঋণের জালে জর্জরিত, অনেকে জেল খাটছেন। কেউ কেউ মিল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি মিল মালিকদের বাঁচিয়ে রাখার লক্ষে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চালের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবী জানান । সমালোচকদের দাবী , সুদিনে মিলারেরা কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা লাভে হুমরি খেয়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতো। লোকশান গুনত কৃষকেরা। এখন কৃষকেরা লাভের মুখ দেখলেও সরকারের টার্গেট পূরুণ করছে না মিল মালিকেরা। অপরদিকে অট্রোরাইস মিলের মালিকদের কাছে বৈষ্যমের শিকার হচ্ছেন হ্যাসকল চাল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন,সুদিনেও দূদিনেও খাদ্য বিভাগে চাল দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনি অভিযোগ ওইসব ক্ষুদে চাল ব্যবসায়ীদের। তারা বৈষ্যম থেকে বের হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ঠি কামনা করেন।
সংবাদ প্রকাশঃ ১৪–১১–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=