বসত ঘরে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম ১১ দিনেও আটক হয়নি আসামী আতংক-উৎকন্ঠায় বাদীর পরিবার

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।    ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর  সংবাদদাতা জানান ===
দলবলে বসত ঘরে ঢুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম, মালামাল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে। আসামীরা ঘুরে ঘুরে বাদীকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি-ধমকি দিলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি বলে বাদী পক্ষের অভিযোগ। বরং বাদী ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ভূক্তভোগির পরিবার।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হায়দরাবাদ গ্রামের মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া ও হাবিবুর রহমানের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ১২টায় প্রকাশ্য দিবালোকে অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে দলবলে হামলা চালায়। রামদা’র কুপে দুলাল মিয়ার মাথা ও দুই হাত রক্তাক্ত জখম হয়। তখন তার শোর-চিৎকারে খলিলুর রহমানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম পারভেজ এগিয়ে আসলে তাকেও রামদা দিয়ে মাথায় কুপ দিলে সেও রক্তাক্ত জখম হয়। তখন শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে দুলাল মিয়ার গলা চেপে ধরে। হামলাকারীরা বিল্ডিংয়ের জানালার গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং ষ্টীলের আলমিরা থেকে এক লাখ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দুলাল মিয়া ও মাজেদুল ইসলাম পারভেজকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদের অবস্থা গুরতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় গুরতর আহত দুলাল মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান মিশন বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান, তার ছেলে মাহবুবর রহমান রনি ও কাউছার মিয়াকে অভিযুক্ত করে গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা রুজু করে (যার নং ৮/৯৮)।
ভূক্তভোগি মিজানুর রহমান শিপন বলেন, দিন-দুপুরে পরিকল্পিত ভাবে এমন ন্যাক্কার হামলা আর ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। বিচার পাবার আশায় আইনের দারস্থ হয়েছি, উল্টো আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। বড় দু:খের বিষয়, গত ১১দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
অপর দিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আসামী কাউছার মিয়া বাদী হয়ে বাদী ও স্বাক্ষীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন (সি আর-৩২২/২০২০)। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমান তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই কুমিল্লাকে নির্দেশ দেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী গ্রেফতার করার জন্য একাধিকবার অভিযান চালিয়েছি। আসামীরা এলাকায় না থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এখনো আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৫১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email