দেবীদ্বারে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশারঃ সংবাদদাতা জানান =====
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের জন্য দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলাম দেবীদ্বার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদকে আহবায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত শেষে কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটির সভাপতিকে অনুরোধ জানানো হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া একই অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আওতাধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা থেকে পৃথকভাবে তদন্ত পরিচালনা করা হয়।
তদন্তে শিক্ষা পরিদর্শক ড. মো. দিদারুল আলম ও অডিট অফিসার চন্দন কুমার দেব দুই ধাপে মোট এক কোটি তিন লক্ষ চার হাজার নয়শত বিরানব্বই টাকা পাঁচ পয়সা (১০,০০,৩৪,৯৪২.০৫ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করেন।
মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ’র এডহক কমিটির আহবায়ক ও প্রকৌশল বিশ^ বিদ্যালয়ের ফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক খোরশেদ আলম কালের কন্ঠকে জানান, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম তুলে ধরে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানাই, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
আমি ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর কমিটির সভা ডাকি, এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষকের ২০/২৫ জন সমর্থক আমার উপর চড়াউ হন, আমাকে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় থানায় সাধার ডায়েরী করেছি। আমি প্রধান শিক্ষককে বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে উক্ত স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক বিজয় দত্তকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমাকে বিধি মোতাবেক বরখাস্ত করা হয়নি, উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের ৪ গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক অভিভাবক নিয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর মিটিং একটি সভা হয়, উক্ত সভায় কমিটির সভাপতির নিকট অর্থ আত্মসাতের প্রমান চান। সভাপতি শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত প্রতিবেদনই প্রমান বলে জানান।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন ও আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গহণ করা হবে।
ছবির ক্যাপশনঃ দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক কাজী মো. আলমগীর হোসেনের সংগৃহীত ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ২৫-১২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=