দেবীদ্বারঃ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে স্বপ্নভঙ্গ: অষ্টম শ্রেণীর ৩০ শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে

সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশারঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/==========
কুমিল্লার দেবীদ্বারের আব্দুল্লাহপুর হাজী আমির উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ৩০ শিক্ষার্থী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না- এমন অভিযোগে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় ১০ বছর পর এবার বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শ্রেণি শিক্ষক তাদের তালিকাও নিয়েছেন। কিন্তু পরে জানা যায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের রেজিস্ট্রেশনই করেনি। এতে তারা মেধা যাচাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপে অংশ নেয়ার সুযোগ হারালো।
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নওরিন ইসলাম, সাদিয়া সুলতানা মাহি, ফয়সাল, তানভির, মাহিম ও সারমিন জানায়, ‘শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় ছিল এই বৃত্তি পরীক্ষা। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে আমরা ৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য অসীম ক্ষতি।’
বালক শাখার শ্রেণি শিক্ষক দ্বীন ইসলাম জানান, পূজার ছুটির সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাচ্চু মিয়া তার কাছে ১০ জন আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানতে চান। তিনি সংখ্যা জানালেও তালিকা চাওয়া হয়নি, তাই আর পাঠানো হয়নি।
অন্যদিকে ছাত্রী শাখার শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর সওকত ভূঁইয়া বলেন, তার কাছ থেকেও প্রধান শিক্ষক শুধু সংখ্যা জানতে চেয়েছিলেন। ছুটির কারণে তালিকা দেয়া হয়নি। পরে প্রধান শিক্ষক তালিকা না চাওয়ায় তিনিও জমা দেননি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর বালক ও বালিকা শাখাংয় ১৪৪ জন শিক্ষার্থী আছে, এদের মধ্য থেকে আমি শ্রেণি শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুতের কথা বলেছিলাম। কিন্তু একদিকে পূজার ছুটি, অন্যদিকে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় বিষয়টি আর ফলোআপ করতে পারিনি। কম্পিউটার শিক্ষক তালিকা তৈরি ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন না করায় এ সমস্যা হয়েছে।’
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর জানান, ‘উপজেলার ৫২টি বিদ্যালয়ের ২০-৩০% শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা। তবে এই স্কুলটি রেজিস্ট্রেশনই করেনি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। তবে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করলে এখনও রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ আছে।’
ছবির ক্যাপশনঃ দেবীদ্বার উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ‘হাজী আমীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-১১-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন