হাজারো মোটর শোডাউনে নাঙ্গলকোটে ফিরলেন বিএনপির প্রার্থী আলহাজ¦ আবদুল গফুর ভূঁইয়া

সিটিভি নিউজ।। মজিবুর রহমান মোল্লা নাঙ্গলকোট সংবাদদাতা জানান ====
হাজারো মোটরসাইকেল শোডাউনে ঢাকা থেকে ফিরেছেন বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আলহাজ¦ আবদুল গফুর ভূঁইয়া। কুমিল্লা-১০ (লালমাইও নাঙ্গলকোট) নির্বাচনী এলাকায় আগমণ উপলক্ষে হাজারো মোটরসাইকেল ও গাড়ি শোভাযাত্রার মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আবদুল গফুর ভূঁইয়াকে বরণ করে নেয় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা- নোয়াখালী সড়কের লালমাই থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়ি শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় ছাদখোলা গাড়িতে উঠে হাত নাড়িয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন গফুর ভূঁইয়া। পরে কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী এলাকার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার হয়ে যুক্তিখোলা, গৈয়ারভাঙ্গা এবং নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা, মাহেনী, হাসানপুর, ঢালুয়া, বক্সগঞ্জ হয়ে নাঙ্গলকোট এসে শেষ হয়। নাঙ্গলকোট উপজেলা হেলিপ্যাড মাঠে সমাবেশে আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় ৯৯ শতাংশ মানুষ খুশি হলেও এক শতাংশ মানুষ নাখোশ হয়েছে। কিন্তু দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে অমান্য করার শক্তি কারো নেই। আমি কথা দিচ্ছি, জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আমি আপনাদের পাশে থাকব। আমি আমার নিজের এবং পরিবারের জন্য কিছুই করব না। ২৪ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা সময় দিব জনসাধাণের জন্য। আবদুল গফুর ভূঁইয়া তার নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলায় মদ,জুড়া চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি সহ সকল ধরণের অপরাধ মুক্ত হিসাবে গড়ে তোলার আশ^াস দেন। কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট-লালমাই) সংসদীয় আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বিভিন্ন পথসভায় গফুর ভূঁইয়া তার বক্তব্যে আরো বলেছেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা আমাকে যে আমানত দিয়েছেন। সেটা রক্ষা করার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমি কোন নেতা নই। আজকে ১৮বছর আমার কোন পদ-পদবী নেই। আমার লোকজন হচ্ছে, আলেম ওলামা, বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক, কৃষক হতে শুরু করে সাধারণ জনগণ। আপনি বড় নেতা এ পরিচয় দেবেন না। আমি জনগণের মনোনয়ন নিয়ে জনগণের কাছে এসেছি। আমি জনগণের জন্য কাজ করবো। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টা কাজ করবো। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। আমাদের মধ্যে সততা থাকতে হবে। অহংকার এবং অহমিকা যাতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি অন্যায় করবো না এবং কাউকে অন্যায় করতে দেবো না। বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের প্রত্যেক ভোটার মা-বোন এবং ভাইদের ঘরে-ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে হবে। বিজয় সু-নিশ্চিত বলে ঘরে বসে থাকা যাবে না। ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যেতে হবে। আওয়ামীলীগের মধ্যে অনেকে ভালো ছিল। তাদেরকে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহবান জানাতে হবে। আপনাদের বিশ্বাস করে নাঙ্গলকোট আপনাদের কাছে ছেড়ে দিয়েছি। আমি লালমাইয়ে প্রতিটি এলাকায় রাত্রি যাপন করে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইবো। আমাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সব সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে দলীয় কার্যালয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন। ওনার বক্তব্যে প্রার্থীদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। আমরা বলেছি, যে মনোনয়ন পাবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো। সেখান থেকে বের হয়ে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার নেতা যে কথা বলেছেন, আমার আর কোন কথা থাকতে পারে না। দল যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন। আমি তার পক্ষে কাজ করবো। অথচ তার লোকজন এখন আমার নেতা তারেক জিয়ার বিপক্ষ নিয়েছেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর আমি রাজনীতি করছি। মানুষের সাথে আমার একটি সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। এটা মুদ্রার এপিঠ এবং ওপিঠ। আমি সরকারি এবং বিরোধী দলে ছিলাম। নাঙ্গলকোটের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি। ২০০৭ সালের পর দেশী-বিদেশী যড়যন্ত্র এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্তা ‘‘র’’এর যড়যন্ত্র ছিল। যার ফলে ১/১১ হয়েছে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারকে হটিয়ে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতা দখল করে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়া হয়েছে। তারেক রহমান লন্ডনে নির্বাসনে ছিলেন। তিনি এখনো লন্ডন থেকে আসতে পারেনি। তিনি লন্ডন থেকে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, যিনি প্রার্থী হবেন, তার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্ক, জনগণের সমস্যা সম্পর্কে জানা এবং জনগণের সাথে সম্পর্ক থাকতে হবে। ২০২৫ সালের ৫ আগষ্ট বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। আমরা ২০২২ সালের ৩১ আগষ্ট নাঙ্গলকোটকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি। আমরা বাঘের এবং সিংয়ের মত ঢাকা-চট্রগ্রাম রোডমার্চে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা ঘোষনা দিয়ে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠ থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
এসময় তার সাথে গাড়ি বহরে উপস্থিত ছিলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ভূঁইয়া, লালমাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ করিম, নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলী আক্কাছ, সহ-সভাপতি গোলাম রসুল চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম সায়েম মজুমদার শিপু, মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সাবেক সহ-সভাপতি শোয়ায়েব খন্দকার, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মুকুল, উপজেলা যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপু, সেলিম জাহাঙ্গীর মন্টু, ছালেহ আহম্মদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবদ দল আহবায়ক খোরশেদ আলম, সদস্য সচিব আজিম উদ্দিন মাকসুদ, ছাত্রদল নেতা শহীদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, মাসুদ আলম প্রমুখ। এসময় লালমাই এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অঙ্গসংগঠনের বিপুর সংখ্যক নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগন উপস্থিত ছিলেন। নাঙ্গলকোট শহীদ মিনার সংলগ্ন মাঠে আব্দুল গফুর ভূঁইয়াকে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবকদল , মহিলা দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। সংবাদ প্রকাশঃ ১০-১১-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন