জ্ঞানের আলোয় আলোকিত এক শিক্ষক — পাপিয়া পাল

সিটিভি নিউজ।। শিক্ষা কোনো চাকরি নয়— এটি এক পবিত্র দায়িত্ব, এক আত্মার প্রয়াস।
এই সত্যটি নিজের জীবনে বাস্তব রূপ দিয়েছেন শিক্ষক পাপিয়া পাল, যিনি বিশ্বাস করেন, “শিক্ষা মানে কেবল পাঠ্যপুস্তক নয়, এটি জীবন শেখার এক অবিরাম যাত্রা।”
শিক্ষা মানে মানুষ গড়ার শিল্প বিদ্যালয়ের সকাল শুরু হয় ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে, কিন্তু পাপিয়া পালের দিন শুরু হয় দায়িত্বের সঙ্গে।
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়া তাঁর কাছে কেবল কাজ নয়, বরং এক ধরনের নৈতিক অঙ্গীকার।
তিনি বিশ্বাস করেন—

> “একজন শিক্ষক তখনই সফল, যখন তাঁর ছাত্র শুধু ভালো ফল নয়, ভালো মানুষ হতে শেখে।”
এই বিশ্বাসই তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
তাঁর শ্রেণিকক্ষে বইয়ের পাশাপাশি শেখানো হয় জীবনের মূল্যবোধ—
সততা, নৈতিকতা, পরিশ্রম ও সহমর্মিতা।
তাঁর মতে, ‘শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য হলো মানুষকে চিন্তা করতে শেখানো, না যে মুখস্থ করা।’

সততা ও মানবিকতার এক প্রতীক

গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে থেকেও পাপিয়া পাল দেখিয়েছেন— সীমাবদ্ধতা কখনো বাধা নয়।
সীমিত সুযোগ-সুবিধার মাঝেও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে।
তাঁর শ্রেণিকক্ষ শুধু পড়ার জায়গা নয়, সেটি হয়ে উঠেছে এক মানবিক শেখার পরিবেশ।
ছাত্ররা তাঁকে ভালোবাসে কারণ তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন বন্ধুর মতো,
বোঝান মায়ের মতো, আর অনুপ্রেরণা দেন পথপ্রদর্শকের মতো।

সহকর্মীদের ভাষায়,

> “পাপিয়া শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি এমন এক শক্তি—যিনি আশেপাশের সবাইকে আলোকিত করেন।”

শিক্ষকতা তাঁর কাছে এক সাধনা

প্রতিদিনের সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া, খাতায় লিখে দেওয়া পরামর্শ, শিক্ষার্থীর পাশে থাকা—
সব কিছুই তাঁর কাছে আনন্দের উৎস।
তিনি বলেন,

> “আমি চাই আমার ছাত্ররা এমন মানুষ হোক, যারা জ্ঞান দিয়ে নিজের জীবন আলোকিত করবে, আবার অন্যের জীবনেও আলো ছড়াবে।”

তাঁর এই নীরব পরিশ্রম যেন এক প্রেরণার বাতিঘর, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সততার পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে।
বিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে তাঁর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে সমাজেও—
অভিভাবকরা তাঁকে মানেন শিক্ষার পথপ্রদর্শক হিসেবে।

জ্ঞানের আলো থেকে জীবনের শিক্ষা

আজকের প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে, যেখানে অনেকেই পেশাকে স্বার্থের সঙ্গে মেলান,
সেখানে পাপিয়া পাল প্রমাণ করেছেন— শিক্ষকতা এখনো শ্রেষ্ঠ পেশা, যদি তাতে যুক্ত হয় ভালোবাসা ও সততা।

তাঁর চোখে শিক্ষা হলো আত্মউন্নয়নের এক যাত্রা, যেখানে শেখার কোনো শেষ নেই।
তিনি বলেন,

> “শিক্ষা তখনই পূর্ণ হয়, যখন তা একজন মানুষকে অন্য মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে।”

তাঁর ক্লাসের প্রতিটি শিক্ষার্থী এই মূল্যবোধ নিয়েই বড় হচ্ছে—
নিজের প্রতি দায়িত্ব, সমাজের প্রতি ভালোবাসা, আর দেশের প্রতি শ্রদ্ধা।

শেষকথা

আজ যখন সমাজে নৈতিকতার সংকট, তখন পাপিয়া পালদের মতো মানুষরা আমাদের আশা জাগান।
তাঁদের হাতেই জন্ম নেয় এক নতুন প্রজন্ম—
যারা শুধু ডিগ্রিধারী নয়, বরং জ্ঞান, মানবতা ও সততায় সমৃদ্ধ।

পাপিয়া পাল দেখিয়েছেন—
একজন শিক্ষক শুধু পাঠদান করেন না, তিনি মানুষের ভেতরে জাগিয়ে তোলেন আলো।

এ কারণেই তিনি আজ—
জ্ঞানের আলোয় আলোকিত এক অনুপ্রেরণার নাম। সংবাদ প্রকাশঃ ১৯-১০-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন