সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ সংবাদদাতা জানান ======
১৩ বছর আগের মামলায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদক, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক জিএস, গুলশান থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকসহ দল ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পদ-পদবীর দায়ীত্বে থাকা এম এ আউয়াল খাঁনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের সাবেক ও বর্তমান ৮ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ৭ নম্বর সিএমএম আদালতের বিচারক।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এমএ আউয়াল খাঁনসহ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করতে গেলে শুনানী শেষে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) পৃথক ২ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ও মিনহাজুর রহমানের আদালতে শুনানী শেষে এ রায় দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রদলের ৮ নেতাকে নাশকতার মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকার সাজা দিয়েছিল। মিথ্যা মামলায় আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। শুনানী শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
দন্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক সবুজ ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মোল্লা, ঢাকা মহানগর উওর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শরিফুল আলম মাসুম, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হান্নান মামুন, ছাত্রদল নেতা আলমগীর, ছাত্রদল নেতা রাশেদ উল্লাহ রাশেদ ও ছাত্রদল নেতা মো. রাসেল।
এদের মধ্যে গোলশানের এক ও বনানীর দুই মামলায় আওয়াল খানের ৭ বছর, গুলশান থানায় এক মামলায় রাসেল ও রাজুর সাড়ে ৩ বছর এবং বনানী থানার এক মামলায় অপর ৫ জনের ২ বছরের সাজা হয়েছিল।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে বনানী থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় তদন্ত করে একই বছর ১৯ ডিসেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
পুলিশে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিএনপি নেতা এমএ আউয়াল খাঁন কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার উনঝুটি গ্রামের খাঁন বাড়ির ইসমাইল খান’র পুত্র।
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল খাঁন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শাসনামলে ২০১৩ সাল থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নাশকতাসহসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ৭২ টি মামলার ১ টি মামলায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। ২৪’র ছাত্র-গণআন্দোলনের পর তিনি রাজনীতিতে উন্মোক্ত হন। তিনি কুমিল্লা- ৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে গণসংযোগ করে আসছিলেন।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) আদলতে আত্মসমর্পণকালে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এডভোকেট ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি ও ঢাকা বারের সভাপতি এডভোকেট খোরশেদ আলম। রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট জহিরুল ইসলাম কাইয়ুম।
ছবির ক্যাপশনঃ কারাগারে যাওয়ার আগে বিএনপি নেতা এমএ আউয়াল খাঁন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন, এবং সিএমএম আদালত এমএ আউয়াল খাঁনের সংগৃহীত ছবি।
সংবাদ প্রকাশঃ ২১-০৯-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=