সিটিভি নিউজ।। “প্রেস বিজ্ঞপ্তি”
“কুমিল্লায় যুবককে গলা কেটে হত্যার পর মহাসড়কের পাশে লাশ বালু চাপা দেওয়ার ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী র্যাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার’
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারক ও হত্যাকান্ডের অপরাধে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১১/০৯/২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় বালুর নীচ থেকে আমিনুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায় ভিকটিম আমিনুল ইসলাম কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ও দেবীদ্বার এলাকার বন্ধুদের সাথে সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে গত ০৯/০৯/২০২৫ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকায় নিজ বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর সর্বশেষ গত ১০/০৯/২০২৫ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ০৫.২৫ ঘটিকা ভিকটিম তার পিতা আলী আজ্জম (৪৮) এর সাথে মোবাইলে কথা বলে। পরবর্তীতে গত ১১/০৯/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১৩.০৫ ঘটিকায় সদর দক্ষিণ থানা এলাকার জনৈক ফরিদ উদ্দীন ঘটনাস্থল হুমায়ুন এন্টারপ্রাইজ এর মালিকানাধীন বালু ভরাট করা উচু জমি দিয়ে তার ফসলি জমিতে যাওয়ার সময় বালুতে রক্ত এবং কিছু একটা বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় দেখে সন্দেহ হলে তৎক্ষণাৎ তিনি ৯৯৯ এ সংবাদ দেয়। সংবাদ পাওয়ার পর কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় বালু চাপা দেওয়া অবস্থা থেকে ভিকটিমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২১, তারিখ-১২/০৯/২০২৫ ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত খুনের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আলোচিত এই খুনের ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৯/০৯/২০২৫ ইং তারিখ রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকা হতে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রধান আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৭), পিতা-মফিজুল ইসলাম, মাতা-তাহেরা বেগম, সাং-মোহনপুর, থানা-দেবিদ্বার, জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীর হেফাজত থেকে ০২ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৭) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চাকুরীচ্যুত সদস্য। সে ০৫ বছর সেনাবাহিনীতে চাকুরী করার পর চাকুরীস্থল থেকে ২০২১ সালে পলায়ন করে। আসামী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী সিরাজুল চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম আমিনুল ইসলাম (২২) এর নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণামূলকভাবে নগদ প্রায় ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা নেয়। ধৃত আসামী সিরাজুল ভিকটিমকে চাকুরি না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। যে কারনে ভিকটিম তার পাওনা টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য আসামী সিরাজুলকে চাপ প্রয়োগ করলে ভিকটিম ও আসামী সিরাজুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিম আমিনুল আসামী সিরাজুলকে হুমকি দিয়ে বলে যে “তোমার থেকে টাকা আদায় করতে আমার শনি-মঙ্গলবার লাগে না”। এই কথা শোনার পর আসামী সিরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখ রাতে ভিকটিম সিলেটে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে ধৃত আসামী সিরাজুল সহ অন্যান্য আসামীদের সাথে দেখা করার পর ভিকটিমকে নিয়ে পদুয়ার বাজারস্থ পদ্মা আবাসিক হোটেলে রাখে এবং আসামী সিরাজুল অন্যান্য আসামীদের নিয়ে পদুয়ার বাজারস্থ বিসমিল্লাহ আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐ রাতেই আসামী সিরাজুল অপর আসামী সজিব ও সুমনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে হত্যার পর পুতে রাখার জন্য বালুতে একটি গর্ত খুড়ে পুনরায় তারা বিসমিল্লাহ হোটেলে চলে আসে। পরবর্তীতে গত ১০/০৯/২০২৫ তারিখ রাতে ধৃত আসামী সিরাজুল সহ অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে নিয়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন মোস্তফাপুর এলাকায় বালু ভরাট করা উচু জমিতে নিয়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে পিছনদিক থেকে গলায় কুপিয়ে ও জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বালু চাপা দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে আসামীরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্নগোপন করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সংবাদ প্রকাশঃ ২০-০৯-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=