সিটিভি নিউজ।। বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ===============
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ুইবাড়ি ও পীর কাশিমপুর গ্রাম এখন প্রায় পুরুষশূন্য। গত ৪ জুলাই গণপিটুনিতে তিনজন মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার জেরে গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন ওই দুই গ্রামের পুরুষেরা। এর ফলে, ওই দুই গ্রামে চুরি, ছিনতাই এবং ডাকাতির ভয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নারীরা। গ্রামের নারী এবং শিশুরা অবিলম্বে এই পরিস্থিতির সমাধান চায়। তারা চায়, পুরুষেরা নিরাপদে গ্রামে ফিরে আসুক এবং তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হোক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনরোষের শিকার হয়ে গণপিটুনিতে এক ছেলে ও এক মেয়েসহ নিহত হন কড়ুইবাড়ি গ্রামের মাদক কারবারি রুবি আক্তার। নিহতের পর রুবি আক্তারের বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ জনকে গ্রেফতারপূর্বক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ডে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২৫ নম্বর আসামি সাবেক চেয়ারম্যান শাহআলমকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে কড়ুইবাড়ি ও পীর কাশিমপুর গ্রাম গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, গণপিটুনির ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিরপরাধ মানুষকে আসামি করে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। এতে অনেক সাধারণ পরিবারের নারী-শিশুরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গ্রামের নারীরা বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরুষেরা বাড়িছাড়া। এতে একদিকে যেমন পরিবারগুলো আর্থিক সংকটে পড়েছে, তেমনি রাতের বেলা বহিরাগতদের আনাগোনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
এলাকাবাসী আরো বলেন, একটি পক্ষ গণপিটুনির ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে ট্রিপল মার্ডারের নামে নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানি করছে। তাদের দাবি, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার হোক এবং নিরপরাধ মানুষরা যেন গ্রামে ফিরে আসতে পারে। তারা বলেন, আমরা প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাই, কিন্তু নির্দোষ মানুষকে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা সামাজিক শান্তি নষ্ট করছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন তারা।
রহিমা খাতুন এক বাসিন্দা বলেন, ‘নিরপরাধ পুরুষরা গ্রেফতারের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে এলাকায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতের আতঙ্কে আছি আমরা।’ তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন, যেন সাদা পোশাকে হয়রানি বন্ধ করে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ আসে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। তিনি আরও বলেন, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের চারটি টহল দল কাজ করছে। নিরীহ কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক। তবে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য কোনো সংস্থা আসে কিনা, তা তার জানা নেই। সংবাদ প্রকাশঃ ১২-০৮-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=