কুমিল্লায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক, বিলুপ্তির পথে পাট ব্যাবসা, ও আঞ্চলিক পাটেের হাট

সিটিভি নিউজ।। তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে সংবাদদাতা,===============
বাংলাদেশের একসময় পাট শিল্প ছিল অর্থনৈতিক চাবিকাঠি, সারা বাংলাদেশের ন্যায় কুমিল্লার অঞ্চলের অধিকাংশ উপজেলার কৃষকরা পাট চাষ করতো,কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে অধিকাংশ জায়গায় পাট চাষ।আর অতীতের ন্যায় বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকায় এবং পাটজাত পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়া তে পাট চাষীরা আগ্রহ হারাচ্ছে। কুমিল্লার সর্ববৃহৎ পাটের বাজার ছিল গৌরীপুর, রামচন্দপুর,ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ,চান্দলা,সিদলাই,দুলালপুর সহ বিভিন্ন হাট।
এগুলো তে পাটের আড়তদার ছিল, ময়াল থেকে বড় বড় গহনা, কবুত কুসা,সরাঙ্গ নৌকা নিয়ে গ্রামের কৃষক দের কাছ থেকে পাট কিনে পাট ব্যাবসায়ীরা গুদাম জাত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ শীতালক্ষার নদীর তীরে নিতাইগঞ্জ পাট বাজারের ব্যাবসায়ীদের কাছে আঞ্চলিক ব্যাবসায়ীরা তাদের ক্রয়কৃতপাট বিক্রি করতো।

।বড় বড় আড়তদারা এসব পাট বিদেশে রপ্তানি করতো।আবার কখনো দেশের চাহিদা মেটাতো,তখন বিখ্যাত জুট মেইল ছিল নারায়নগঞ্জের আদমজী, চট্টগ্রামের আমিন জুট মেইল।এই বৃহৎ মেইলগুলোতে পাট শিল্প হারিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের কৃষকরা
পাটচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। যেমনটি আজ ৯ই অগাস্ট ২০২৫ সকালে সরজমিনে দৈনিক কুমিল্লার জমিনের প্রতিবেদকের চোখ পড়ে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকদের নানাহ সমস্যা কথা।
পাট শিল্প ও পাট উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে পাটের দরপতন, কৃষি উপকরণের মূল্য ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, পাট পঁচানোর পানির অভাব ও শ্রমিক সংকটের কারণেই পাটচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

চান্দলা,বলাকিয়া,সিদলাই,দুলালপুর,ছাতিয়ানি গ্রাম ঘুরে কৃষক দের সাথে কথা বলে জানা যায় এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণ তুলে ধরেন ঐ এলাকার কৃষক
আবদুল মতিন, হক ভূইয়া, ফারুক আহমেদ, আবদুল কাদেরসহ অনেকেই বলেন,পাটের বদলে রবি ফসল, বোরো ও আমনসহ অন্যান্য লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ফলে দিন দিন ব্রাহ্মণপাড়াসহ কুমিল্লার নীচু অঞ্চল গুলোতে পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে। এবিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় এ বছর ৫৩ হেক্টর লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে পাট চাষের জন্যে , এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মাত্র ৩০ হেক্টর। বিভিন্ন ইউনিয়নে গত বছর ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ সময় মতো জমি তৈরি করতে পারেনি।এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম গুলো নিচু হওয়ার সময় মতো জমি চাষাবাদ ও তৈরি করতে অনেক কৃষকের বেগ পেতে হয়েছে।
তাই কৃষকেরা পাট চাষে কিছুটা আগ্রহ হারাচ্ছে। পাটচাষীরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়ন এর কৃষক আবদুল হান্নান জানান, পাট চাষে খরচ বেশি এছাড়াও কয়েক বছর ধরে বন্যা না হওয়ায় আমরা পাট চাষ করতে সমস্যা হচ্ছে। পাট চাষে আমাদের খরচ পুষে না তাই আমরা পাট চাষের বদলে অন্যান্য ফসল করছি।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের আটকিল্লার পাড় গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়া বলেন, পাটের আবাদ করে বেশ কয়েকবার লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করলেও, এবার সংসারের প্রয়োজনে জ্বালানী হিসেবে মাত্র ৭ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করেছি। সংবাদ প্রকাশঃ ১১-০৮-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন