সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান =====
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ঘরে ঘরে জ্বর দেখা দিয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগের মধ্যে বমি, পেটব্যথা,শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি ও নাক দিয়ে পানি পড়ার মতো নানা উপসর্গ রয়েছে। এ নিয়ে তারা ডেঙ্গু ও করোনা আতঙ্কে রয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এ সময়টায় মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ চলছে। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে রোগী ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে ডেঙ্গু ও করোনা আতঙ্ক দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়ির পাশের ফার্মেসি বা পল্লি চিকিৎসকের কাছ থেকে ভুল চিকিৎসা না নিয়ে রোগের শুরুতেই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। তবে জ্বর বা যে কোনো উপসর্গ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ও চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে জ্বরসহ ডেঙ্গু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যাই বেশি। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীরা অসুস্থতাজনিত কারণে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ রোগীকেই চিকিৎসাপত্র ও রোগপ্রতিরোধমূলক পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে ৭ বছরের শিশু তানহা আক্তার নিয়ে এসেছেন তার মা রাজিয়া আক্তার। তানহা কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছে। জ্বরের সঙ্গে তার শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা ও বমির উপসর্গ রয়েছে। অসুস্থতার শুরুতে তাকে পল্লি চিকিৎসক থেকে ঔষডধ নিয়ে খাওয়ানো হয়। কোনো আরোগ্য না দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে তাকে।
রাজিয়া আক্তার বলেন, ওষুধ খাওয়ালে জ্বর ছাড়ে, তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার জ্বর ফেরত আসে। কখনো কখনো তীব্র জ্বর আসে, তখন প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। কয়েকদিনের অসুস্থতায় আমার মেয়ে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
৫ বছরের শিশু রবিউল ইসলামকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে নিয়ে এসেছেন তার মা ফারজানা আক্তার। তিনি বলেন, তার ছেলে জ্বর ও ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতায় ভুগছে। সর্দি-কাশিও রয়েছে। বাড়ির পাশের ফার্মেসি থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন রাবেয়া নামে এক নারী। তিনি উপজেলার বেড়াখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি তীব্র জ্বর, শরীর ব্যথা ও মাথাব্যথায় ভুগছেন। দুদিন চিকিৎসা নিয়ে এখন তিনি কিছুটা আরোগ্য অনুভব করছেন। তবে নতুন করে তার কাশির উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কাশির জন্যও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শেখ হাসিবুর রেজা জানান, এখন বর্ষাকাল সারা দেশে ডেঙ্গু বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। মানুষকে সচেতন করে তুলতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও ডাবের খোশা পুরাতন টায়ার বিভিন্ন ফুলের টবে পানি জমে থাকালে সেখান থেকেই ডেঙ্গু মশা বংশবৃদ্ধি করে। সবসময় তা পরিস্কার রাখতে হবে। এবং রাতে ও দিনের বেলা মশারী টানিয়ে
ঘুমাতে হবে। এ সময়টায় মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ চলছে। মানুষের অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এ সময়ের জ্বরকে সাধারণ জ্বর ভেবে অবহেলা করাও চলবে না। যেহেতু ডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই অবশ্যই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে অথবা কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে কাজ করছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১০-০৮-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুকী তাপস
মোবাইল: 01711335013
www.ctvnews24.com