সিটিভি নিউজ।। বিশেষ প্রতিনিধি চট্রগ্রাম :=======
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম এর সাহসী উদ্যোগে চট্রগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভরাশঙ্খ-সাতছড়ি খালটির পূনঃ খননের ফলে যেমন কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে, তেমনি খাল-নির্ভর জীববৈচিত্রে ফিরেছে প্রানচাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও ভরাট হয়ে যাওয়া খালটির কারনে কৃষি, বাস্তুতন্ত্র এবং নৌচলাচলে মারাত্নক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
প্রায় ১৮ কিমি দীর্ঘ এই খালটি বিভিন্ন পাহাড়ী ছড়া থেকে উৎপত্তি হয়ে বৈলতলী, খাগরিয়া, সাতবাড়িয়া, দোহাজারী ও হাসিমপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শঙ্খ নদীতে মিলিত হয়েছে। এই খালের উপরের অংশে বিভিন্ন পাহাড়ী ছড়ার পানি ও নিচের অংশে জোয়ার ভাটার প্রভাব বিদ্যমান ।
গত ২৫ বছর ধরে খালটি নিয়মিত ভাবে পুনঃ খনন না হওয়ায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকটে ভূগছিল কৃষি জমি ও জৈববৈচিত্র। চাষাবাদের পাশাপাশি খালের মাছ, কাঁকড়া, শামুকসহ নানা জলজ প্রানী বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), দোহাজারী জোনের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেন জানান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ‘ভূ-পরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় খালটির ১২ কিঃমিঃ পুনঃখনন কর হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৪,০০০ একর জমি জলাবদ্বতা থেকে মুক্ত হয়ে সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে।
পুনঃখননের পর খালটির নাব্যতা যেমন ফিরে এসেছে অপরদিকে বিলুপ্তপ্রায় জলজ প্রাণী পুনরায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। খালে ছোট মাছ, ব্যাঙ, জলজ উদ্ভিদসহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা এলাকার জীববৈচিত্র্যের জন্য আশার আলো।
খালের অবশিষ্ট ৬ কিমি অংশ চলতি অর্থবছরে খননের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসাথে ইতোমধ্যে ১টি ১.৫ কিউসেক সৌরচালিত ও ১টি ১ কিউসেক বিদ্যুৎচালিত পাম্প স্থাপনসহ মোট ২,৪০০ মিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ২৫০ একর অনাবাদি জমিকে আবাদে রূপান্তর করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে আরও ১৪,৬০০ মিটার ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ৩টি ১.৫ কিউসেক সৌরচালিত, ৩টি ১ কিউসেক, ২টি ২ কিউসেক এবং ২টি ৫ কিউসেক বিদ্যুৎচালিত পাম্প অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে আরও ৯৫০ একর অনাবাদি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
বৈলতলীর কৃষক মোঃ মোখলেস বলেন, “খাল খননের আগে বর্ষায় ফসল তলিয়ে যেত, শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানি পাওয়া যেত না। এখন সেচনালা নির্মাণের ফলে আমরা সারা বছর আখ, ধান, সবজি, ফুল চাষ করছি। খরচ কমেছে, আয় বেড়েছে।”
চর খাগরিয়ার কৃষক আবদুল গফুর বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী থেকে পাইপ লাইন নির্মাণ ও খাল খননের পূর্ব আমাদের স্কীমের প্রায় ২০০ একর জমি অনাবাদি ছিল বিএডিসির মাধ্যমে খাল খনন ও খালের পানি ব্যবহার করে সৌরচালিত সেচযন্ত্র ও পাইপ লাইন ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে জমিতে সেচ দেওয়া যায় এবং বিদ্যুৎ খরচ লাগেনা বিধায় আমাদের ফসল উৎপাদন খরচ অনেক কম পড়ে।
প্রকল্প পরিচালক, জনাব প্রকৌ: মোঃ নুরুল ইসলাম জানান যে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভরাশঙ্খ-সাতছড়ি খালটির ১২ কিঃমিঃ পূনঃ খনন করা হয়েছে এবং চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় আরও অনেক স্কীম গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় কৃষকগন পতিত জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে আবাদে আনছে এবং বিএডিসি প্রকল্পের মেন্ডেড অনুযায়ী স্থানীয় কৃষকদের সহযোগীতা করে যাচ্ছে। আশা করা যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি আবাদে আসবে এবং কৃষকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এখন খালটির মাধ্যমে কৃষিপণ্য ও গৃহস্থালি জিনিস নৌপথে পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে, যা যোগাযোগ ও স্থানীয় অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। খালের পানি, প্রাণ ও পরিবেশে ফিরে আসা এই জীবনচঞ্চলতা যেন প্রকৃতির আপন বৈশিষ্ট্যই পুনরুদ্ধার করেছে।
নুরুল ইসলাম বলেন যখন যে সরকারি আসে কৃষির উপর বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ রাষ্ট্রের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন ভবিষ্যতে আরো বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করতে বিশ্বের ভূমিকা পালন করবে দেশ হবে কৃষি সমৃদ্ধ জনবান্ধব দেশ। সংবাদ প্রকাশঃ ২১-০৭-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ ওমর ফারুকী তাপস
মোবাইল: 01711335013
www.ctvnews24.com