ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন পাষণ্ড সন্তান

সিটিভি নিউজ।। মোহাম্মদ আককাস আলী :নওগাঁ শহরের কাজীর মোড় এলাকায় স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়িতে বৃদ্ধা মা বিলকিস আক্তার (৬৮)কে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাঁর একমাত্র ছেলে।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাকে হুমকি দিচ্ছেন ওই পাষণ্ড ছেলে।
বৃদ্ধা বিলকিস আক্তারের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে কানাডায় থাকেন। শহরের কাজীর মোড়ে বিলকিস আক্তারের স্বামী নিজের ১০ শতাংশ জমির ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে তিনি বসবাস করে আসছিলেন।
তথ্য অনুসন্ধানে উঠে আসে ২০২১ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর বসতবাড়ির জমি নিয়ে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলামের সঙ্গে মা বিলকিস আক্তারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর আইন অনুযায়ী বিলকিস আক্তার ও তাঁর তিন সন্তান ওই বসতবাড়ির অংশীদার হন। কিন্তু মোস্তাফিজুল ইসলাম বসতবাড়ির পুরো সম্পত্তি দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মা ও বোনেরা তাঁকে বসতবাড়ির জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। ছেলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিলকিস আক্তার ২০২১ সাল থেকে অধিকাংশ সময় নওগাঁ শহরেই বড় মেয়ের বাড়িতে থাকছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই)বেলা ১১টার দিকে নিজের বাড়িতে এসে দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে লোহার ফটকে তালা মারা দেখতে পান। তালা মারার বিষয়টি ছেলেকে মোস্তাফিজুলকে জানালে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার জন্যই ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন।
মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে ছেলে মোস্তাফিজুল ইসলাম জানান, বসতবাড়ি নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে মারামারি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর মা স্বেচ্ছায় মেয়ের বাসায় বসবাস করে আসছেন। আদালতের নির্দেশে বড় বোনের জিম্মায় আছেন। এখন তিনি আমার জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিলকিস আক্তারের বড় মেয়ের স্বামী চিকিৎসক আবুজার গাফফারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার শ্যালক এর আগেও শাশুড়িকে নির্যাতন করেছে। এমনকি গায়ে হাতও তুলেছে। এটা নিয়ে মামলাও রয়েছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-০৭-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন