
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।। গত ০৩/০৭/২০২৫ ইং তারিখ সকালে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি এলাকায় ভিকটিমদের বাড়ি ও বাড়ির সামনের রাস্তায় কতিপয় আসামী ভিকটিম ১। রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫); ২। জোনাকী (২৪) এবং ৩। রাসেল (৩৩)’দের কে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় অপর ভিকটিমদ্বয় ৪। রুমা (২৭) ও রিক্তা (৩২) পালানোর চেষ্টাকালে আসামীরা তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। উক্ত হত্যা ও হামলার ঘটনায় ভিকটিম রোকসানা এর মেয়ে রিক্তা (৩২) বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ০৪, তারিখ-০৫/০৭/২০২৫ ইং, ধারা-১৪৩/১৪৯/৪৪৮/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত খুনসহ হামলার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। আলোচিত এই ট্রিপল মার্ডারের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গোয়েন্দা নজরদারী, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৪/০৭/২০২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল ডিএমপি, ঢাকার রামপুরা থানাধীন বনশ্রী এলাকা হতে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৩ নং আসামী ১। বাচ্চু মিয়া (৫৫), পিতা- মৃত আলী আকবর, ০৫ নং আসামী ২। রবিউল আওয়াল (৫৫), পিতা- মৃত ছপি মোল্লা, উভয় সাং- কড়ইবাড়ি, থানা-বাঙ্গরা বাজার, জেলা-কুমিল্লা’দ্বয়কে এবং উক্ত মামলার সন্দিগ্ধ আসামী ৩। আতিকুর রহমান (৪২), পিতা- বাচ্চু মিয়া, ৪। মোঃ বায়েজ মাস্টার (৪৩), পিতা- রবিউল আওয়াল, উভয় সাং- কড়ইবাড়ি, উভয় থানা- বাঙ্গরা বাজার, জেলা- কুমিল্লা’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও র্যাব-১১ এর অন্য একটি আভিযানিক দল গত ০৪/০৭/২০২৫ ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় ৩৩ নং আসামী ৫। দুলাল (৪৫), পিতা- মালু মিয়া, এবং সন্দিগ্ধ আসামী ৬। আকাশ (২৪), পিতা- দুলাল, উভয় সাং-হায়দরাবাদ, থানা- বাঙ্গরা বাজার, জেলা- কুমিল্লা’দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় আসামীদের নিকট হতে ০৪ টি মোবাইল ও ০১ টি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধান ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০১/০৭/২০২৫ ইং তারিখ সকালে গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ০৫ নং আসামী রবিউলের বাড়ি হতে মোবাইল চুরির অভিযোগে জনৈক বাঙ্গরা বাজার থানাধীন হায়দরাবাদ এলাকার অটোরিক্সা চালক বোরহানকে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সহ অন্যান্য আসামীরা বেধড়ক মারধর করতে থাকে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে বোরহানের পিতা জসীম উক্ত সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তার ছেলের প্রাণভিক্ষা চায়। উল্লেখ্য, বোরহানের বাড়ি মৃত ভিকটিম জোনাকীর (স্বামী-মোঃ মনির-৩৫, সাং-হায়দরাবাদ) শ্বশুর বাড়ির পাশে অবস্থিত হওয়ায় বোরহানের পিতা জসীম জোনাকীকে আসামীদের নিকট হতে তার ছেলেকে উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু জোনাকী ও তার পরিবারের সদস্যরা আসামীদের নিকট হতে বোরহানকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে বোরহানের পিতা বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ইতোমধ্যে বোরহানকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে লোকমুখে খবর প্রকাশিত হলে বোরহানের পিতা ধারণা করে যে, আসামীগণ তার ছেলেকে মেরে লাশ গুম করে ফেলেছে এবং বোরহানের পিতা কর্তৃক থানায় অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় আসামীগণ ধারণা করে যে, ভিকটিম জোনাকী ও তার পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে বোরহানের পিতা থানায় অভিযোগ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৩/০৭/২০২৫ ইং তারিখ সকালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত আসামীরা সহ অন্যান্য আসামীরা বেআইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে ভিকটিমের বাড়ি ঘেরাও করে অনধিকার প্রবেশ পূর্বক তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের বাড়ি থেকে বের হতে বলে। এসময় ভিকটিম ১। রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫) বাড়ি থেকে বের হলে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ সহ অন্যান্য আসামীরা তার মাথায় রামদা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে, অপর ভিকটিম ২। জোনাকী (২৪) তার মাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলে তাকেও নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মা ও বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ভিকটিম ৩। রাসেল (২৭) তৎক্ষণাৎ মোটরসাইকেল যোগে তার বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে গ্রেফতারকৃত আসামী সহ অন্যান্য আসামীরা মোটরসাইকেলে থাকাবস্থায় নির্মমভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এছাড়াও অপর দুই ভিকটিম ৪। রিক্তা (৩২) ও ৫। রুমা (২৭) কে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্নগোপন করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে তারা সকলেই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সংবাদ প্রকাশঃ ০৬-০৭-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=