
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) থেকে/================
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের ‘নলুয়া খেলার মাঠ’টি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের দখলে।
এ মাঠটি উপজেলার সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ। প্রায় ৫ একর ৪৩ শতাংশের এ মাঠের চতুর্পাশ ভূমি খেকুদের আচরে আজ ক্ষত বিক্ষত।
বিশাল এ খেলার মাঠটিতে প্রতিদিন আশেপাশের এলাকার ছোট বড় শিশু, কিশোর ও যুবকরা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলায় ব্যস্ত সময় পার করেন। মাঠের চারপাশে খেলার দৃশ্য দেখে মনে হবে কোন ক্লাবের খেলার অনুশীলন চলছে। এমন দৃশ্য শুধুমাত্র বছরের কয়েক মাস দেখা যায়। আর বছরের অধিকাংশ সময় মাঠটি এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে মাছ চাষের জন্য থাকে।
স্থানীয় মো. আকাশ সরকার জানান, এ মাঠটি শুধু দেবীদ্বারই নয়, বাংলাদেরেশর হাতেগুনা কয়েকটি মাঠের মধ্যে একটি বিশাল মাঠ। মাঠের পূর্বপাশে সরকারি সড়ক, দক্ষিণ পাশের বাড়ির আবুল হাসেমের পুত্র শরিফ ভূঁইয়া ও জামাল ভূঁইয়া পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছেন। অপরদিকে মাঠের অংশ ও পুকুরের অংশ থেকে মাটি কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার বিক্রি করেন মিজান চৌধূরী।
তুহিন সরকার জানান, মাঠটিতে উপজেলা প্রশাসন গুচ্ছ গ্রামের প্রকল্প হিসেবে নিতে চাইলে আমাদের বাঁধারমুখে তা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা আরো জানান, এছাড়াও মাঠের একাংশ জেলা প্রশাসক থেকে স্থানীয়রা ৩১ শতাংশ জমি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা এনে মসজিদ নির্মাণ করেন। উত্তর পাশের একাংশে ‘সুয়া মিয়া মাজার’ এবং ‘ঈদগাহের’ ইদগাহের পাশের ১.৬৬ শতক জমি ইজারা এনে ওই পুকুরকে আরো ব্যাপক ভাবে প্রসারিত করে এবং মাটি বিক্রি করে আসছেন ইজারা গ্রহিতারা।
স্থানীয় সুমন মিয়া জানান, অনেক বছর আগে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারি হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে ধামতীর ঐতিহ্যবাহী নলুয়া খেলার মাঠে আর কোন টুর্নামেন্ট গড়ায়নি। তবে বিকেল হলে এলাকার শিশু, কিশোর ও যুবকেরা ফুটবল, ক্রিকেট খেলেন। তবে এ চিত্র মাত্র বছরের কয়েক মাস দেখা যায়। বাকীটা সময় মাঠটি স্থানীয় প্রভাবশালী শরিফুল ইসলাম ভূইয়া মাছ চাষ করে থাকেন।
এ বিষয়ে শরিফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, মাঠ ও পুকুরটি তিনি নলুয়া মসজিদ ও সুয়া মিয়ার শাহ’র মাজার কমিটি থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে দুই বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন বলে জানান। সেই সুবাদে তিনি এগুলো অবৈধ দখল আছেন।
এ বিষয়ে সরকারি সম্পত্তি মসজিদ ও মাজারের নামে বন্ধক বা কট দেয়ার বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোন কথা বলেননি। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এভাবেই চলছে বলে জানান।
মাঠ থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত বছরে দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় তিনি স্থানীয়দের দাবীর মুখে মাঠের সাথে রাস্তা মেরামত করে দেন মাঠের মাটি দিয়ে। কিন্তু মাঠ থেকে অন্যাত্র মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
ধামতী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মহসিন মিয়া জানান, ধামতী ইউনিয়নে ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি আছে ১০১ একর ৯৫ শতক আর অর্পিত সম্পত্তি আছে ৪৫ একর ২৩ শতক। কিছু জমি ইজারা নিয়ে দখলে আছেন। আর মাঠ ও মাঠের পাশের জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় আছে।
দেবীদ্বার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলাম বলেন, মাঠ ও মাঠের সাথে পুকুরটি মূলত মাঠেরই অংশ। পুরো সম্পত্তিটি সরকারি জায়গা। তিনি আরও জানান মাঠ ও পুকুরটি অবৈধ দখলের বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ বা অবগত না। অবৈধ দখলের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াসদেন।
ছবির ক্যাপশনঃ দেবীদ্বারের ঐতিহ্যবাহী ‘নলুয়া’ খেলার মাঠ ও পুকুরের ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ২৭-০৫-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=