
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) থেকে/==============
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন রুহুলের বিরুদ্ধে বিজিএফ কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউপি কার্যালয়ে সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কর্তৃক বিজিএফ কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম এবং দেবীদ্বার সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ফুয়াদ এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ছিলেন।
জানাযায়, ফতেহাবাদ ইউপি’র বিজিএফ কার্ডধারী তালিকাভূক্ত ১৪০ জন উপকারভোগীর জন্য জনপ্রতি ৩০ কেজি করে ৫ মাসের বরাদ্ধ একসাথে ২১ টন চাউল আসে। কার্ডধারী জনপ্রতি ৩০ কেজি করে ৫ মাসে ১৫০ কেজি চাউল পাওয়ার কথা থাকলেও- সেখানে অনেক গ্রাহক ৫০ কেজি, ১ শত কেজি কেউবা ১৫০ কেজি পেয়েছেন।
একাধিক গ্রাহক জানিয়েছেন, তারা ১৫০ কেজির স্থলে মাত্র ৫০ কেজি এবং ১ শত কেজি চাউল পেয়েছেন, বাকী চাউলগুলো চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করার জন্য রেখে দিয়েছেন। চাউল বিতরণকালে চেয়ারম্যান মাষ্টাররোলে তাদের কারো স্বাক্ষরও নেননি। যা পরবর্তীতে আত্মসাতকৃত চাউলের হিসাব মিলিয়ে স্বাক্ষর নেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। আবার ৫০ কেজি এবং ১ শত কেজি পাওয়া একাধিক গ্রাহক জানিয়েছেন, আমাদের বাকী চাউলগুলো পরবর্তী এলটে আসা চাউল থেকে দেয়াহবে বলে চেয়ারম্যান সাহেব জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৬ নং ফতেহাবাদ ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন রুহুল জানান, উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে আমার ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত ২১ টন চাউলের মধ্যে ১৫ টন চাউল এনে গত (২৩ মে) শুক্রবার ১৪০ জন গ্রাহকের মধ্যে ২৫ জন গ্রাহককে ১ শত কেজি, ১ শত ৫০ কেজি করে চাউল বিতরণ করেছি। এখনো অনেক গ্রাহক বাকী রয়েছেন। বাকী ৬ টন চাউল এনে কমদেয়া গ্রাহকদের বতিরণ করার কথাও বলেছি। বৃষ্টির কারনে বাকী ৬ টন চাউল আজ (২৬ মে) আনতে না পারায় এ সমস্যায় পড়েছি।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপ্টেন ফুয়াদ বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রক্ষিত অনেক অবিতরণকৃত চাউলের বস্তা মজুত পেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাহকদের চাউল বিতরনের সময় কোন মাষ্টারোল তৈরী করেননি। গ্রাহকদের মধ্যে কয়েকজন ১৫০ কেজি করে চাউল না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এখানে অনিয়মের বিষয়টি জেলা প্রশাসক দেখবেন। তদন্ত কমিটির তদন্তে অনিয়ম পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবেন। আজ (২৬ মে) রাতেই ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কেউ কেউ চাউল কম পাওয়ার অভিযোগ আবার কেউবা সম্পূর্ণ চাউল পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে চাউল বিতরণকালে চেয়ারম্যান কোন মাষ্টাররোল দেখাতে পারেননি। তা ছাড়া অবিতরণকৃত চাউলের বস্তা চোয়ারম্যানের দখলে কিংবা অন্যত্র সরিয়ে রাখার প্রমান পাইনি। ইউপি কার্যালয়েই পেয়েছি, তাই তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান কার্যালয়ে সেনা অভিযানের সত্যতা শিকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
ছবির ক্যাপশন ঃ দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিজিএফ কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগে ওই ইউপি কার্যালয়ে সেনা সদস্যদের অভিযান চলাকালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন রুহুল ও সেনাসদস্যদের সংগৃহতি ছবি। সংবাদ প্রকাশঃ ২৭-০৫-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=