Sunday, May 4, 2025
spot_img
More

    ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এ প্রশিক্ষণ, উৎসাহ – উদ্দীপনায়

    সিটিভি নিউজ।। মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার: সংবাদদাতা জানান ==== হাসিমাখা মুখ,হাসিতে ভরা প্রকৃতি,গাছগাছালির ছায়াতে হাসি, মেঘনা নদী থেকে ভেসে আসা বাতাসে হাসির শব্দ, আকাশে হাসির রংধনু, কোমল নরম বাতাসে প্রতিনিয়ত হাসিতে দোল খাচ্ছে কত রং বেরঙের নাম জানা -অজানা ফুল। কাঁঠালের হাসি মাখানো রিষ্ট পুষ্ট দেহ, কৃষ্ণ চূড়া গাছের আগুন ঝরা হাসি,সবুজ মাঠে বিস্তৃত আম গাছে কাঁচা আমের গন্ধে, পাখির কিচির মিচির শব্দ। রাস্তার উভয় পাশে বিশালাকার রেইনট্রিগুলো সারিবদ্ধ ভাবে সুশৃংখল হয়ে হাসিমুখে মৃদুমন্দ হাওয়া যোগান দিয়ে ছায়ার চাদরে ঘিরে রেখেছে ক্যাম্পাসের অনেকগটা অংশ। সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা বৃক্ষ গুলোকে দেখলে মনে হবে দেশ সেরা চৌকস বুদ্ধিদীপ্ত মেহমানদের হাসি ফুলের মালা উপহার দিয়ে বরণ করতে আর ভালোবাসার আদরে ভরা অভিজ্ঞতার ঝুলি উপহার দিয়ে দেশের সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিয়ে বিদায় জানাচ্ছে।

    গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে
    সারা বাংলাদেশ থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন Accelerating and Strengthening Skills for Economic Transformation (ASSET) প্রকল্পের গ্র্যান্ট প্রাপ্ত ১২টি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৫ টি নার্সিং ও ১টি ম্যাটস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে
    কুমিল্লার স্বনামধন্য বেসরকারি
    শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা আইএইচটি এন্ড ম্যাটস থেকে আমি চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মোঃ আবদুল আউয়াল সরকারহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে “3- week training on public procurement & e- Gp management ” প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ, চর বাউশিয়া, গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে আসি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিরতিহীন ছোট বড় গাড়ির যথারীতি ভয়ংকর প্রতিযোগিতার শো শো শব্দ,অনবরত ভেপুর হুমকি, পুলিশের গাড়ির, অ্যাম্বুলেন্সের গলা ফাটা চিৎকার ভেদ করে যখন গজারিয়া মুন্সিগঞ্জ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশে এ প্রবেশ করি, মুহূর্তেই প্রায় শতাধিক রেইনট্রি গাছের অপার সৌন্দর্য ও ময়ূরের পেখমের মতো গাছগুলোর ডালা পালা গুলোকে মেলে ধরার দৃশ্য দেখে রীতিমতো অবাক ও মনের অজান্তেই একটা স্বস্থিবোধ করি। ভ্রমণের ক্লান্তি কখন কিভাবে দূর হয়ে গিয়েছিল বলতে পারবো না।
    যাইহোক মিষ্টি মিহি গলার নরম সুরের হাস্যজ্জল গাইড এর সাহায্যে তড়িঘড়ি করে নির্ধারিত রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ নাস্তা সেরে সকাল ৯ টা বাজার কয়েক মিনিট আগেই ওপেনিং সেশনে অংশগ্রহণ করলাম। প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী হাসির দেখাটা মেলে নির্বাহী অফিসার (ইএসসিবি) প্রকৌশলী মো: আব্দুল আউয়াল স্যারের চোখেমুখে। ট্রেনিং শেষ হওয়া অবধি তাহার হাসিটা অপরিবর্তিত ছিল। কথা বলার আগে হাসতেন, কথা বলার মাঝখানে হাসতেন এবং কথা বলার শেষেও হাসি মাখা মুখ নিয়ে বিদায় নিতেন সব সময়। ওপেনিং সেশনে পিডি স্যার ( মীর জাহিদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব) সহ সম্মানিত সভাপতি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পূর্ণ বক্তব্যে কোন কৃত্রিমতা ছিল না। প্রত্যেকেই হাসিমাখা মুখে নরম সুরে ট্রেনিং প্রোগ্রামের সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছিল ক্লোজিং সিরিমনি অনুষ্ঠানে পিডি স্যার যখন হেসে আওয়াল স্যার কে বলেছিলেন সবাইকে নদীর মাছ খাওয়ান তো? কারণ মেঘনা নদীর পাড়েই তো আমাদের ক্যাম্পাস। তার কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছিল পরিবারের প্রধান তার সন্তানদের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
    বন্ধুসুলভ আচরণে প্রায় সকল রিসোর্সপারসনগণ ক্লাস নিতেন। হাসিমাখা মুখ সকলের মাঝেই কমন ছিল। কেউ কেউ আবার হেসে হেসে, হেলে দুলে ও ক্লাস নিতেন , গল্পগুজব করে আমাদের মনোযোগকে আকৃষ্ট করতেন। আমরা কেউ কেউ অবুঝের মত প্রশ্ন করলেও রাগ করতেন না, হেসে হেসেই ধৈর্য নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতেন। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বিভিন্ন ইনস্টিটিউট থেকে আসা আমরা সকল শিক্ষকগণ একই পরিবারভুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল খুবই সন্তোষজনক। আমাদের মাঝে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না। কে কাকে কিভাবে সাহায্য করবে, সহযোগিতা করবে এটা যেন একটা নীরব প্রতিযোগিতা ছিল। শেষের দিনগুলো খুবই মধুর স্মৃতি বিজড়িত ছিল যা সহজে ভুলবার নয়। আমাদের মাঝে কোন সিনিয়র, জুনিয়র ছিল না, সেই ছাত্র জীবনে মনে হয় ফিরে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পর রুমে অথবা মাঠে সেকি উচ্চস্বরে হাসি, বিশুরা কন্ঠে গান দীর্ঘদিন হৃদয়ের গহীনে গেথে থাকবে।

    এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসি, প্রথমদিন ক্লাস থেকে ফিরে দেখি রুমের সকল কাজকর্ম গুছিয়ে ফিটফাট করে রাখা হয়েছে। আমি কিছুটা অবাক হয়ে গেলাম। রুমের চাবি তো আমার কাছে। কেউ রুমে ঢুকবে অফিস থেকে আমাদেরকে তো জানানো হলো না। অন্তত টাকা, মানিব্যাগ সাথে নিয়ে যেতাম। যাইহোক চেক করে দেখলাম সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। তিন সপ্তাহের ট্রেনিং এ একটা সুতাও মিসিং হয়নি অথচ তারা প্রতিদিন আমাদের অনুপস্থিতিতে রুমের সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখে যেত মনে হতো আমরা পরিবারের সাথেই বসবাস করছি। পরে বুঝতে পেরেছিলাম সেখানকার স্টাফরা শুধু হেসে হেসে কথা বলেন না বরং তারা সৎ এবং লোভী ছিলো না তাতে কোন সন্দেহ নেই। ডাইনিং এ খেতে গেলে লক্ষ্য করতাম ক্যান্টিনের সুন্দর নিষ্পাপ চেহারার ছেলেগুলো কখনো চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতো না,জোড়ে শব্দ করে কথা বলতো না, চুপচাপ চটপট করে সব কাজ করে ফেলতো। এত শৃঙ্খলা, এত আদব কায়দা এরা কোথায় শিখেছিল?প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আমরা কুমিল্লার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে গিয়েছিলাম। গাইড হিসেবে ছিলো ল্যাব এটেনডেন্ট মোহাম্মদ আলামিন যিনি যথাসম্ভব হেসে হেসে কথা বলতেন ও ধৈর্য সহকারে শিক্ষকদের পাশে থাকতেন।
    লেখক:
    চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ,শিক্ষক।
    সংবাদ প্রকাশঃ ০৪-০৫-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments