মিথিলার ভালোবাসা: ঈদের সেলামির টাকায় গরমে কষ্ট লাঘবে ফ্যান উপহার

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্যান কিনে দিল ৬ বছরের শিশু মিথিলা
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/===========
ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এমন ব্যতিক্রমী নজির কমই দেখা যায়। কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাত্র ৬ বছর বয়সী শিশু আলিফা আলী মিথিলা ঈদের সেলামির পুরো টাকা দিয়ে একটি ফ্যান কিনে দিয়েছেন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য।
তীব্র গরমে মাদ্রাসার ছোট ছোট সহপাঠীদের কষ্ট দেখে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় মিথিলা। ঈদের সেলামির টাকা জমিয়ে দেয় বানিয়াপাড়া আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মাদ্রাসায়।
শিশু থেকেই মানবিক শিক্ষা : মিথিলা দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ স্কুলের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে। মা আয়েশা আলী মুক্তা একজন নারী উদ্যোক্তা, বাবা প্রভাষক মোহাম্মদ আলী একজন সমাজসেবক। দুই বোনের মধ্যে মিথিলা সবার ছোট।
গত বৃহস্পতিবার ফ্যানটি মাদ্রাসায় ফ্যানটি হস্তান্তরের সময় শিশুদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। শিশুরা দৌড়ে আসে ফ্যানটি দেখতে, মিথিলাকে ঘিরে ধরে আনন্দে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই ছোট্ট ছাত্রীর প্রতি।
‘বন্ধুদের কষ্ট আমার ভালো লাগেনি’- ফ্যান কেনার পেছনের কারণ জানতে চাইলে মিথিলা বলে, “আমার বন্ধুদের গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তাই আমি আমার ঈদের সেলামির টাকা দিয়ে ফ্যান কিনে দিয়েছি।’
মিথিলার মা আয়েশা আলী মুক্তা বলেন, ‘সে যখন জানাল, নিজের সঞ্চিত টাকা দিয়ে ফ্যান কিনবে, আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ি। এত ছোট বয়সে ওর এই মানবিক চিন্তা আমাদের গর্বিত করেছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় স্থানীয় নারী উদ্যোক্তা ‘মা- মেয়ের রান্নাঘর’র পরিচালক সাংবাদিক হুরবানু আক্তার পলি বলেন, সমাজের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত শিশু মিথিলা। তার এমন মানবিক দৃষ্টান্ত এখন পুরো এলাকায় প্রশংসার বিষয়।
স্থানীয়রা বলছেন, এই বয়সেই যদি শিশুরা সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ শিখে, তাহলে ভবিষ্যতের সমাজ অনেক বেশি সুন্দর হবে।

ছবির ক্যাপশন: ঈদের সেলামির টাকা দিয়ে কেনা ফ্যান মাথায় তুলে হাসিমুখে বন্ধুদের মাঝে শিশু মিথিলা; পাশে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সংবাদ প্রকাশঃ ২৫-০৪-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like)
আরো পড়ুন