
কুমিল্লার মুরাদনগর সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে আয়োজিত পিঠার স্টল পরিদর্শন করছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমান।
সিটিভি নিউজ।। মো. বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ=================
‘নতুন ধানে, নতুন প্রাণে, চলো মাতি পিঠার গানে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদেরকে নিয়ে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মুরাদনগর সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে ওই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিঠা উৎসবটি উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রহমান। তবে এই পিঠা উৎসবের ভিন্নতা এনে দিয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের “প্রতিভা” স্কুলের উপস্থিত দর্শকরা। তারা আর সবার মতো না, বলতে গেলে যারা সমাজে উপেক্ষিত তাদের জন্যই এ উৎসব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সানজিদা হায়দার নূপুর, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বরুন দে, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, বিএডিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাউসার আল মামুন, সেন্ট্রাল স্কুলের উপাধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, প্রতিভা স্কুল পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুফি আহমেদ এবং ফিজিওথেরাপিস্ট মাহমুদুল হাসান মামুন প্রমূখ।
আলাদা ধরনের এ উৎসবে সাজ পিঠা, শিশ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামাই পিঠা, খির সন্দেশ, সুজি পিঠা, তেলের পিঠা, পুলি পিঠা, দুধ পুলি, পায়েস, নারকেল ও নাড়ুসহ অন্তত ২৫-৩০ প্রকারের পিঠার আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের কাছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের পিঠা-পুলি-পায়েস পরিচিত করানোই মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীসহ তাদের অবিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিভা স্কুলের রুকন কুমার ও জুনাইদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আকার ইঙ্গিতে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বুঝাতে চেষ্টা করেন, এ উৎসবে আসতে পেরে তাদের খুবই আনন্দ লাগছে। নতুন নতুন মজাদার পিঠা খেয়ে তারা উল্লাসিত।
অভিভাবক নাদিরা আফরিন, রহিমা বেগম, ফাতেমা আক্তার, মনি আক্তার ও ঝুমা সাহার সাথে কথা হলে কর্তৃপক্ষের এই ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের আয়োজন আমাদের বাচ্চাদের জন্য অনেক উৎসাহের। বাচ্চারা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচিত হতে পেরেছে এবং বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেয়েছে। তারা আরো জানায়, এই বিদ্যালয়টি হওয়ার পরে তাদেরকে আর অর্থ ব্যয় করে শহরের স্কুলে যেতে হচ্ছে না। বিশেষ করে আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের লোকজন তাদের বাচ্চাদেরকে এখানে নিয়ে আসতে পারছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থী অনুযায়ী জায়গা স্বল্পতার কথাও জানায় অভিভাবকরা। পাশাপাশি একজন স্পিচ থেরাপিস্ট দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেন।
স্কুল পরিচালকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা শারমিন ফাতেমা বলেন, এ ধরনের আয়োজন করতে পেরে আমারা খুবই খুশি। কারণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাংলার হরেক রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। সংবাদ প্রকাশঃ ২২-০২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=