কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কের মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে এ ধরণের লাল মাটি ও নিম্ন মানের সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিটিভি নিউজ।। মো. বিল্লাল হোসেন, মুরাদনগর থেকে ঃ==============
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কের মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পাকা রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫/২০ দিন যাবত রাস্তা সংস্কারের কাজ অনিয়ম ভাবেই করে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঠিকাদার লালমাটি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাখরনগর-নেয়ামতপুর সড়কটির কার্পেটিং উঠে রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়। এতে দুর্ভোগে পরেন স্থানীয় লোকজনসহ রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ। জনগণকে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে মোচাগড়া চেয়ারম্যান বাড়ীর মোড় থেকে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত ৩৭০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কার করার জন্য এলজিইডি থেকে টেন্ডার দেওয়া হয়। এতে প্রক্কলিত মূল্য ধরা হয় ১৭ লাখ ৫৪ লক্ষ ১০৬ টাকা। এর মধ্যে কাজটির চুক্তিমূল্য ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ টাকা। ওই টেন্ডারে মেসার্স মুন্সী এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। এরপর রাস্তার পুরাতন ইট তুলে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেন মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ নামে ঠিকাদার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার রাস্তায় ইটের সুরকি ফালানো হচ্ছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য্য সহকারী মজিবুর রহমান কাজটি তদারকি করছেন। আর তার চোখের সামনেই মিঠা ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী রাস্তায় ফালানো হচ্ছে।
স্থানীয় ইকবাল হোসেন ও এমদাদুলসহ আরো কয়েকজন জানায়, শুরু থেকেই কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। পুরাতন ইটের উপরেই রাস্তায় রোলার করেছে। এভাবে অনিয়ম করে কাজ চলতে থাকলে রাস্তা বেশিদিন টিকসই হবে না। সঠিক ভাবে রাস্তার কাজ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাজের ঠিকাদার মোঃ মুন্সী রুবেল আহাম্মদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার মামা সবুর ভুইয়া জানে। কাজটি আমার না, সবুর ভুইয়ার।
উক্ত রাস্তা তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, আমি এখনো ওই রাস্তায় যাইনি। ২/১ দিনের মধ্যে যাব। নিম্নমানের কাজ হলে ব্যবস্থা নেব।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এখনো কোন তথ্য নিতে পারিনি। রাস্তার কাজে অনিয়মের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রকাশঃ ১৭-০২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=