Sunday, February 23, 2025
spot_img
More

    দেবীদ্বার সরকারি হাসপাতালে ঔষধ ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ত্রি-রত্নের জালিয়াতি প্রকাশ

    সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/========
    ৫০ সয্যা বিশিষ্ট কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে যেয়ে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যাল’ কর্তৃক সরবরাহকৃত ছয় গ্রæপের ১২ টি কার্যাদেশের বিভিন্ন ঔষধ ও মালামালের স্তুপ। গত ১৯ দিন ধরে এসব মালামাল হাসপাতাল ফ্লুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
    এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা রোগির সংখ্যার দিক থেকে ‘কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ ও ‘সদর হাসপাতালের’ পরের স্থান। ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও মাঝে মাঝে ভর্তি রোগির পরিমান থাকে শতাধিক। হাসপাতালটি উপজেলা সদর এবং ‘কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কের পাশে হওয়ায় ‘জরুরী বিভাগ’ ছাড়াও বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগির পরিমান দাড়ায় সহস্রাধিক। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অধিকাংশ রোগি স্বল্প আয়ের এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অংশদারিত্ব বেশী।
    যেগুলো চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশী। রোগিদের নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও বিভিন্ন সামগ্রীর চেয়ে অপ্রয়োজনীয় ঔষধ ও বিভিন্ন সামগ্রীর পরিমান ছিল বেশী এবং নিম্নমানের।
    গত ২১ ও ২২ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত ঔষধ ও মালামাল সার্ভে কমিটির সদস্য ডাঃ মো. নাজমুল হাসান সাঈদ (জুনিয়র কনসাল্টেন্ট), ডাঃ মো. কবির হোসেন (আর এমও) এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডাঃ শফিকুল ইসলাম এসব মালামাল পর্যবেক্ষণ করে অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় উপস্থিত সাংবাদিক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও স্থানীয়রা নিম্নমানের, অপ্রয়োজনীয় এবং পরিমানের চেয়ে অতিরিক্ত হওয়ায় সার্ভে কমিটিকে ইজিবির নিয়ম বহির্ভূত কোন ঔষধ ও মালামাল গ্রহন না করার অনুরোধ জানান।
    এসব সরবরাহকৃত মালামাল সংরক্ষনেরও কোন গুদাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। গত ২০২০ সালে মালামাল সংরক্ষণে পুরাতন ভবনের পুরুষ ওয়ার্ড পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে ওই ওয়ার্ডকে মালামাল রাখার গুদাম করা হয়েছে।
    সরবরাহকৃত ঔষধের মেয়াদ কার্যাদেশে ২ বছরের থাকলেও কিছু ঔষধ প্রায় ৬/৭ মাস অতিবাহিত হয়েগেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেকের গুদামে ১৫২ পিস বালিশ রয়েছে, চাহিদাপত্রে ৩ শত বালিশের ওয়ার্ক অর্ডার থাকলেও এ চাহিদার ২০% অতিরিক্ত করলে ৩ শত ৬০ পিস সরবরাহ করার কথা, সেখানে বালিশ আনা হয়েছে ২ শত ৭৫ টাকা দরে ৫ শত ৭০ পিস, অপরদিকে টেন্ডার আইডির ক্রমিক নং ১৬তে ট্যাবলেট সেফুরেক্সিম ৫০০ গ্রাম + ক্লাভনিক এসিড ১২৫ গ্রাম দরপত্রে চাওয়া হয়ে ছিলো ৬৫০ পিস, ট্যাবলেটের দাম ৬০ টাকা কিন্তু কার্যাদেশ দুটিতে সর্বমোট ৭ হাজার ৩ শতটি ট্যাবলেটের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, ৬৫০ পিস ট্যাবলেটের শর্তানুযায়ী সর্বোচ্চ শতকরা ২০% বাড়ানো গেলেও, এই পরিমান চাহিদা দেয়া কোন প্রকারেই সম্ভব নয়। এখানে শুধুমাত্র একটি আইটেমই নয়, সকল গ্রুপের সকল আইটেমেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে যার সব কিছুতেই চরমভাবে অনিয়ম করেছেন। এই ঔষধটি (ট্যাব. সেফুরেক্সিম ৫০০ গ্রাম + ক্লাভনিক এসিড ১২৫ গ্রাম) পঞ্চম প্রজন্মের এন্টিবায়োটিক, একজন রুগীর জন্য ১২-১৪ টি ট্যাবলেট প্রয়োজন, মাত্র ৫ শত ৩০ জন রুগীর সেবা প্রদানে কার্যাদেশ মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক রোগিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সেবায় কার্যাদেশে একটি প্যারাসিটামল টেবলেট সরবরাহ করা হয়নি। তাছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করণ নিরুৎসাহিত করে দিবস পালন করে থাকে, সেখানে একই অধিদপ্তরের কর্মরত কর্মকতা হয়েও এই দ্বৈত্ব নীতি গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টরা কোন জবাব দিতে পারেননি।
    এ ছাড়াও ষ্টিলের আলমিরাগুলোর থিকনেস ও ওজন খুবই দূর্বল, রোগির বেড ফোমগুলো মুষ্টিবদ্ধ করলে জমাট বেঁধে যায়, টিপ পড়লে ছিদ্র হয়ে যায়, ফোম কভার ছাড়াই যেগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩ শত টাকা, গজ, বেন্ডেজ, কটন প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকগুন বেশী সরবরাহ করা হয়েছে। তা ছাড়া চুক্তি মোতাবেক সকল গ্রুপের মালামাল সমূহ ১৪ দিনের মধ্যে সরবরাহের বধ্যাবাধকতা ছিলো, যার বিষয়ে বর্তমান দায়ীত্বরত কর্মকর্তাদের কোন সদত্তোর পাওয়া যায়নি।
    এখানেই শেষ নয় ই-জিপিতে দরপত্র আহব্বান করেও সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উক্ত সহোযোগী প্রতিষ্ঠানকে সার্বিক সহযোগীতায় নিয়ম বহিভর্‚তভাবে প্রতিটি এমএসআর গ্রুপের জন্য দুুইটি করে কার্যাদেশ প্রদান করে যান। ই-জিপি সিডিউল প্রতিটি গ্রুপ লট বা লট মালামালের সংখ্যা বা পরিমান নির্দিষ্ট ছিলো, যা ই-জিপি শর্তাবলী মোতাবেক আইটিটি ধারা ৫৩.১ এ প্রতিটি আইটেম শতকরা ২০% কমাতে বা বাড়ানোর এখতিয়ার সিমাবদ্ধ ছিলো। কিন্তু তিনি প্রতিটি কার্যাদেশেই তার আর্শিবাদ পুষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যালকে (বাড়ী নং ২৭, রোড নং ০৮, বøক-ই, রামপুরা, বনশ্রী, ঢাকা ১২১৯) নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ই-জিপিতে আইডি নং ১০২৭৫১৯ ঔষধ (নন ইডিসিএল) ৫১ টি আইটেমের স্থলে এক কার্যাদেশেই ৩৩ টি আইটেম এবং অপরটিতে ২০ টি আইটেমের ঔষধের চাহিদা চাওয়া হয়েছিলো।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে দেবীদ্বার সরকারি হাসপাতালে ঔষধ ও এমএসআর সমগ্রী ক্রয়ের জন্য গত বছরর ই-জিপিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড সার্জিক্যাল’র ‘ঔষধ নন-ইডিসিএল’, ‘এমএসআর যন্ত্রপাতি সামগ্রী’, ‘গজ-ব্যান্ডেজ-তুলা সামগ্রী’, ‘লিলেন সামগ্রী’, ‘ক্যামিকেল রি-এজেন্ট সামগ্রী’ ও ‘আসবাবপত্র’সহ ছয় গ্রুপের ছয়টি আইডিতে প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। মূল বাজেটে এ ঔষধ সামগ্রীর মধ্যে সরকার নির্ধারিত ৭০% ঔষধ সামগ্রী ক্রয় এবং ৩০% সংশ্ষ্টি ঠিকাদার তার ইচ্ছা স্বাধীন সরবরাহ করবেন। দরপত্র দাখিলের (এবং কার্যাদেশ দেয়ার) সর্বশেষ সময়সীমা ও ছিল গত বছরের ২৪ নভেম্বর। কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে চাহিদা প্রদানকৃত ঔষধসহ বিভিন্ন সামগ্রীর স্যাম্পল(নমুনা) জমা দেয়া এবং এসকল স্যাম্পলগুলো মূল্যায়ন কমিটির কর্তৃক বাছাইকৃত সামগ্রীর গায়ে স্বাক্ষর থাকার কথা। যা অডিটকালীন সময় পর্যন্ত সংরক্ষণে রাখার কথা। বাস্তবে কোন সামগ্রীরই স্যাম্পল রাখা হয়নি। যার ফলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইচ্ছা স্বাধীন কোম্পানীর মালামাল সরবরাহ করছেন।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকাদার জানান, দরপত্র আহব্বানকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে তৎকালীন দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলী এহসান ছিলেন। দরপত্র আহব্বান করার পর থেকেই দরপত্র আহব্বানকারীদের প্রতি পক্ষ-পাদুষ্ট মনোভাব দেখিয়েছিলেন, তিনি নিয়মীত অফিসে বসতেন না, যার ফলে প্রকৃত ঠিকাদারগণ ওনার চাহিতা শর্তাবলীর ব্যাখ্যা ও এর সমাধান নিতে পারছিলেন না। এঅবস্থায় ডা. মো. আলী এহসান আহব্বানকারী কর্তৃপক্ষ হিসাবে দরপত্র মূল্যায়ন করার পূর্বেই পাবনা জেলার ঈশ্বর্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী হয়ে যান। বদলী আদেশ পাওয়ার পর তিনি গত বছরের ৩ ডিসেম্বর অত্যন্ত গোপনে দরপত্র মূল্যায়ন করেই প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য চট্রগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েদেন এবং ৩ ডিসেম্বরই গোপনে দেবীদ্বার ত্যাগ করেন।
    ওই ঠিকাদারগন আরো জানান, অভিযুক্ত ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আলী এহসান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে (কোড নং, ১১০০৯৪) প্রকাশিত সিভিল সার্জন ফিটলিস্ট ক্রমিক নং ২৮-এ অবস্থান করছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর মন্ত্রনালয়ে ওই সিভিল সার্জন লিস্টভ‚ক্ত হন। এই ধরণের জালিয়াতি ও অপকর্মের হোতা যদি ভবিষৎতে কোন জেলার সিভিল সার্জন হিসাবে নিয়োগ পান তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনদূর্ভোগ চরমে দাড়াবে।
    প্রশাসনিক অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালের প্রধান সহকারী শিল্পী রানী দত্ত, ইপিআই টেকনেশিয়ান জসীম উদ্দিন, (ইপিআই টেকনেশিয়ান জসীম উদ্দিন একই কর্মস্থলে প্রায় ১৫ বছর অবস্থান করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সকল অনীয়মের দিক নির্দেশক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে), প্রধান সহকারী ও আরএমও ডা. কবীর হোসেনের সার্বিক সহোযোগীতায় তিনি দেবীদ্বার অবস্থান না করেও একই দিনে টেন্ডারের বাধ্যবাধকতা নির্বাচিত দরপত্র দাতার প্রতি নোটিফিকেশন এওয়ার্ড (নোআ) ইস্যু করণ, জামানত বা সিকিউরিটি জমাদান, তিন শত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এগ্রিমেন্ট সাইন করণ এবং সর্বপরি ওয়ার্ক অর্ডার বা কার্যাদেশ প্রদান করাসহ যাবতীয় অনিয়মগুলো একই দিনে সম্পন্ন করে যান। যা কখনোই সম্ভব নয়। এছাড়াও ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দেবীদ্বার কর্মস্থলে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তার নিকট দায়ীত্ব বুঝিয়ে দেন।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. মহিবুস ছালাম খান ও আরএমওর দৃষ্টি আকর্ষক করা হলে এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কোন প্রকার নথি দেখাতে পারেন নাই। পরবর্তিতে এই সকল নথি পূর্বের তারিখ দিয়ে নথি বদ্ধ করে রাখার সুযোগ বন্ধে, তথ্য অধিকার আইনে ওই সংক্রান্তে তথ্য চেয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আবেদন করেও এক মাস অতিবাহিত হলেও তথ্য দিতে গরিমশি করছেন। টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার আগে কোন তথ্য সরবরাহ করা যাবেনা বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়ে দেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি আনাস ও জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হয় ওই সংক্রান্ত সাপ্লাই ভাউচার হস্তগত হয় যার ফলে এই অনিয়ম ও জালিয়াতি গুলো প্রকাশ্যে আসে যা অত্যন্ত গোপনে করা হচ্ছিলো।
    স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী উক্ত অনিয়মের বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে ই-জিপি দরপত্রের বিভিন্ন নথি চেয়ে ছিলেন, যা এক মাস অতিবাহীত হয়েগেলেও প্রধান সহকারী ও আরএমও বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তথ্য দিতে গড়িমসি করেছিলেন।
    গত ২২ জানুয়ারি সাকালে দেবীদ্বারে কর্মরত সকল সাংবাদিকবৃন্দ এই বিষয়ে জানার জন্য এই হাসপাতাল কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন।
    মূল্যায়ন কমিটির সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসীক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. কবির হোসেন জানান, আমরা দরপত্রে এবং প্রাপ্ত ঔষধ ও মালামালে অসঙ্গতি পাওয়ায়, কোন মালামালই গ্রহন করি নাই। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহৃত করেছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মতামত পেলেই ব্যবস্থা নেব।
    সংশ্লিস্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি আনাস ও জহিরুল ইসলাম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ঔষধ ও মালামাল সাপ্লাই ভাউচারের মাধ্যমে সরবরাহ করেছি। মূল্যান কমিটি মূল্যায়ন শেষে আমাদের মালামাল সংগ্রহ করেছেন।
    সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলী এহসান জানান, আমি টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এখন বাকী কাজটা বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাই করবেন। আমি দেবীদ্বারের জনগনের স্বার্থে দু’টি চাহিদা পত্রের কার্যাদেশ এক সাথে দিয়েছি যাতে করে বরাদ্ধকৃত টাকা ফেরত না যায়। এখানে অনিয়ম থাকলে বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং মূল্যায়ন কমিটিই নির্ধারন করবে।
    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. মহিবুস ছালাম খান জানান, আমি কর্মস্থলে যোগদানের পূর্বেই, পূর্বের কর্মকর্তা দরপত্রের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে গেছেন। ঔষধ ও এমএসআর’র মালামাল গ্রহনের দায়িত্ব মূল্যায়ন কমিটির। তাছাড়া ইজিপির বাহিরে কোন ধরনের অনীয়ম করার সুযোগ নেই। অনীয়মের বিষয়টি নানাভাবে নজরে আসায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহীত করেছি।
    জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সারোয়ার আকবর জানান, দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দরপত্র আহবান এবং ঔষধ ও এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ে অনীয়মের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানেন এবং অনীয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    ছবির ক্যাপশনঃ ছবি-১০ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত মালামাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঔষধ ও মালামালের স্তুপ। ছবি-২) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত মালামাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঔষধ ও মালামাল পর্যবেক্ষণ করছেন মূল্যায়ন কমিটি।
    সংবাদ প্রকাশঃ ০৯-০২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments