সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি================
দৈনিক যুগান্তরে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা মেডিক্যাল কলেজে মেধাতালিকায় ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরেও অর্থনৈতিক কারণে শঙ্কায় থাকা সেই মেধাবী ইমন কাজীর ভর্তির যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) কুমিল্লা-৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট ড.মোবারক হোসেন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইমন কাজী ও পরিবার। এর আগে (৩০ জানুয়ারি ) ‘অর্থের অভাবে মেডিক্যাল অনিশ্চিত ইমনের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের বেড়াখলা গ্রামের দিনমজুর কাজী মনিরুলের ছেলে ইমন কাজী। চলতি বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ইমন কাজী।তবে পরিবারের সবার চোখমুখে আনন্দ থাকলেও আড়ালে দেখা দেয় দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তা।এমন খবর পেয়ে দৈনিক যুগান্তর সরেজমিনে গিয়ে ইমন ও তার দরিদ্র পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সংবাদ প্রকাশ করেন। সংবাদটি প্রচারিত হলে ‘আমরা এলাকাবাসী সংগঠন,সহ অনেকেই ইমনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামায়াত নেতা এড.ড.মোবারক হোসেন ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন।
জামায়াত নেতা এড.ড.মোবারক হোসেন বলেন,ইমন কাজী নামে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চিত এমন সংবাদটি দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন সহ বিভিন্ন পত্রিকায় দেখে পরিবারটির সাথে যোগাযোগ করেছি। সে আমার এলাকার সন্তান,মেধাবী ছাত্র। সে শুধু আমার এলাকার গর্ব না পুরো বাংলাদেশের গর্ব।তার পাশে থাকতে পেরে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে। এই মেধাবী ছেলে এগিয়ে নিতে সবাই পাশে থাকার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
ইমন কাজী প্রতিনিধিকে বলেন,এ্যাড.ড. মোবারক হোসেন ভাই আমার সাথে ও আম্মুর সাথে মোবাইলে কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন মেডিক্যালে ভর্তি টাকা দিবেন এবং আমার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় তার পরিবার সকল গণমাধ্যমকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। তারা প্রতিবেশীরা জানায়,ইমন কাজীর ভর্তির পর বই প্রয়োজন,খুলনা থাকা-খাওয়া সহ খরচ ব্যয়বহুল। যা ইমনের পরিবারের পক্ষে সম্ভব না এই দিকেও সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, মেধাবী এই শিক্ষার্থী ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পোমকাড়া সিদ্দিকুর রহমান অ্যান্ড হাকিম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন গোল্ডেন জিপিএ-৫। ২০২৪ সালে বুড়িচং উপজেলার পারুরায়া আব্দুল মতিন খসরু কলেজ থেকে একমাত্র ইমন কাজীই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।চলতি বছরে সে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পায়। ইমনের বাবা কাজী মনির (৫৫) একজন দিনমজুর ।তিনি এলাকার অন্যের জমিতে কাজ করে রোজগার করে সংসার চালান। মা মাহমুদা বেগম (৫০) গৃহিণী। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে ইমন কাজী দ্বিতীয়। তার বড় বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। তার ছোট বোন অনার্স ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত, ছোট ভাই পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। সংবাদ প্রকাশঃ ০১-০২-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= ==আরো =বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে নিউজ লিংকে ক্লিক করুন=