
সিটিভি নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বস্তা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন মাটিবাহিত রোগের আক্রমণ অনেক কমে যায়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বস্তা স্থানান্তর করা যায়। আদা চাষে পতিত জমিতে কৃষিকাজে কৃষককে সব ধরনের সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। তাদের অব্যাহত কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমানে পরিত্যক্ত জায়গা, বাগান, বাড়ির উঠান কিংবা পতিত, নিচু জলাশয় জমিতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছে চাষিরা।
তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রথমবারের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষ করেছে উপজেলার একাধিক কৃষক। তাদের মধ্যে অন্যতম উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সফিকুল ইসলাম। সে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন। প্রথমবার চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়ে তিনি অনেক খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক সফিকুল ইসলাম তার নিজ বাড়িতে বিভিন্ন জাতের ফলমূলের বাগানে আদা চাষ করেছেন। আদা ঘরে তুলার সময় হয়েছে। বস্তা খুলে দেখা গেলপ্র্রতিটা বস্তায় ৮শ গ্রাম থেকে ১ কেজি আদা হয়েছে। প্রথমবার চাষে এমন ফলন পেয়ে খুশি তিনি। এ বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হওয়ার আশাবাদী তিনি।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। এবং উচ্চ ফলনশীল আদার বীজ সংগ্রহ করে তাদের বিনামূল্যে দিয়েছি। পুরো উপজেলায় অসংখ্য কৃষক বস্তায় আদা চাষ করেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম কৃষক সফিকুল ইসলাম।
দেবীদ্বার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, বস্তায় আদা চাষের জন্য আলাদা করে জমির দরকার নেই। অনেকের বাড়িতে এ পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে পারেন। আবার অতিবৃষ্টি বা বন্যায় ফসল ডুবে নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই। একটি ফসল তোলার পর সেখানে আলাদা করে কোনো সার ছাড়াই আরেকটি ফসল ফলানো যাবে। খরচও তুলনামূলক কম। বাড়ির উঠান, প্রাচীর ঘেঁষে বা বাড়ির আশপাশের ফাঁকা জায়গা অথবা ছাদে যেখানে খুশি বস্তা রাখা যায়। এর জন্য বিশেষ কোনো পরিচর্যারও প্রয়োজন হয় না। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও এখন মাঠ পর্যায়ে বস্তায় আদা চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কারণ আমাদের দেশে আদার চাহিদা অনুযায়ী চাষ হয় না, আমদানি নির্ভর। তাই আমদানি নির্বর না হয়ে কিভাবে চাষ করে চাহিদা মিটানো যায় আমাদের লক্ষ্য। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বাণিজ্যিকভাবে প্রায় চারগুণ বেশি চাষ হয়েছে। আমরা আমাদের কৃষি অফিসের ছাদেও এ বছর আদা চাষ করেছি। উচ্চ ফলনশীল আদার বীজ কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে ও আদা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে।
ছবির ক্যাপশনঃ বাড়িতে বিভিন্ন জাতের ফল বাগানের নিচে বস্তায় বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করে সফল কৃষক সফিকুল ইসলাম ও কৃষকের আদার ফলন পরিদর্শনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায়। সংবাদ প্রকাশঃ ২৩-০১-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=