সিটিভি নিউজ।। মোহাম্মদ আককাস আলী :সংবাদদাতা জানান ==== নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় একটি বাড়িতে ডাকাতির পর গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪জানুয়ারি)দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাতে মহাদেবপুরে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে ঢোকে ডাকাত দল। তারা বাড়ি থেকে টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার লুটের পর বাড়ির এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই গৃহবধূকে উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রথমে তিনজনকে ও পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে মহাদেবপুর থানা-পুলিশ।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন জেলার মান্দা উপজেলার চকজামদই গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে পচা (২৯), একই গ্রামের তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর গ্রামের সোলাইমান আলী (৩৮), জিনারপুর গ্রামের রিপন আলী (৩০), গৌড়রা বৌদ্দপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৩২), চকন্দর্পপুর গ্রামের সাগর হোসেন (১৯) ও বন্দীপুর গ্রামের রুবেল সরদার (২৮)। তাঁদের শরিফুল ও ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া সাগর, তারেক ও রিপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, একদল ডাকাত গত ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার একটি বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঢোকে। তারা প্রথমে বাড়ির সদস্যদের হাত-পা, মুখ বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল লুট করে। যাওয়ার সময় ওই বাড়ির এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে একটি খোলা মাঠে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর স্বজনদের পক্ষ থেকে থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, শুরুর দিকে ঘটনাটি পুলিশের কাছে ক্লুলেস ছিল। ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুটের মালামাল উদ্ধারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা-পুলিশ। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাঁসুয়া জব্দ করা হয়েছে। ওই তিনজন আদালতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আরও চারজনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গতকাল দিবাগত রাতে দুজন গ্রেপ্তার হন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফারজানা হোসেন ও জয়ব্রত পাল এবং মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসমত আলী উপস্থিত ছিলেন।
মহাদেবপুর থানার ওসি হাসমত আলী বলেন, গতকাল রাতে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সংবাদ প্রকাশঃ ১৫-০১-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=
