সিটিভি নিউজ।। মানিক ঘোষ ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-=======
শীত এলেই ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন স্থানে দোকান সাজিয়ে মুখরোচক পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ভাপা ও চিতই পিঠা। দিনভর কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পিঠা খায়। আবার অনেকেই বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দের পিঠাও নিয়ে যায়। রিকশাচালক, দিনমজুর, চাকুরীজীবি, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ভিড় জমায় এসব পিঠার দোকানে। শহরের বিভিন্ন স্থানে চালের আটা, গুড়, নারিকেল, ছোট্ট বাটি আর মাটির চুলা সাজিয়ে বসে বিক্রেতারা। পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারীও পিঠা তৈরির পসরা নিয়ে বসে। এসব দোকানের ধোঁয়া ওঠা গরম গরম পিঠা খেতে জমে ওঠে পিঠাপ্রেমী মানুষদের আড্ডা। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। এ ব্যবসা চলে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পিঠা বিক্রি জমজমাট হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সন্ধ্যায় পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। সরেজমিন শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট, পায়রাচত্তর, হাটের রাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাপা পিঠা ছাড়াও চিতই পিঠার সাথে মুখের স্বাদ বাড়াতে ধনিয়া পাতা, মরিচ, সরিষা ভর্তা, কচুর শাক ভর্তা, শুটকি মাছের ভর্তা দিয়ে পিঠা বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এসব পিঠার এক একটির দাম নেয়া হচ্ছে ৭ থেকে ১০ টাকা।
শহরের পুরাতন ডিসি কোটের সামনে পিঠা বিক্রি করেন সাব্বির আহমেদ। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৩০০ পিচ ভাপা পিঠা বিক্রি করেন। প্রতিটি ভাপা পিঠার দাম নেন ১০ টাকা। তিনি জানান, শীত পুরোপুরি না পড়ায় বেচাকেনা কম হচ্ছে। এতে খরচ খরচা বাদে ১২০০ টাকা লাভ হচ্ছে।
পার্কপাড়া এলাকার শরিফুল আহমেদ শাকিল (২৮) দৈনিক ৩০০ পিচ চিতই পিঠা বিক্রি করেন। এতে দৈনিক লাভ হচ্ছে ১০০০ টাকা। তিনি আরও জানান, শুরুর দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও শীত বাড়ার সাথে সাথে বিক্রি বাড়ছে।
শহরের পাগলাকানাই এলাকার পিঠা বিক্রেতা আলী আকবর জানান, প্রতিদিন ৪ টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে পিঠা বিক্রি শেষ হয়ে যায়। কম লাভে বেশি বিক্রির আশায় তিনি প্রতি পিচ চিতই পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি করেন। দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা লাভ হয়। তিনি আরও জানান, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে লাভ কম হচ্ছে।
পিঠা খেতে আসা কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ বলেন, এখানে প্রায় ৪-৫ প্রকারের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়া যায়। এক এক ধরনের ভর্তার স্বাদ একেক রকম। দামও খুব কম। তাই আমি সময় পেলেই সন্ধ্যায় এখানে ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে আসি। এখানে প্রতিটি চিতই পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।
এম এইচ রুবেল নামের এক ক্রেতা বলেন, বাসায় পিঠা তৈরি করে খাওয়ার সুযোগ হয় না। এ জন্য যখন পিঠা খেতে মন চায় তখনই এখানে চলে আসি। এখানের চিতই পিঠা ও ভর্তা খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঝিনাইদহের বাড়ি বাড়ি তেমন আর শীতের পিঠা তৈরি হয়না। তাই সে জায়গা দখল নিয়েছে এসব মৌসুমী পিঠার দোকানিরা। পুরো শীত মৌসুম জুড়ে ক্রেতারা ফুটপাতের এসব দোকান থেকে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নিচ্ছে আর বিক্রেতারা পাচ্ছে বাড়তি আয়ের সুযোগ। সংবাদ প্রকাশঃ ০৫-০১-২০২৫ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=
গরম পিঠা খেতে ফুটপাতে পিঠাপ্রেমী মানুষের আড্ডা
আরো সংবাদ পড়ুন