সিটিভি নিউজ।। ফরহাদ রহমান রিপোর্টার কক্সবাজার ============= কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বহু অপকর্মের হোতা মনছুর আলম মুন্নাকে গ্রেফতার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভুইয়ার কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ধৃত মনছুর আলম মুন্না (৩০) রামু উপজেলার গর্জনিয়া দক্ষিন বড়বিল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ও বর্তমানে কক্সবাজার শহরের ৯নং ওয়ার্ডের পুর্ব ঘোনারপাড়াধীন তার শাশুড়বাড়ীতে ঘরজামাই হিসেবে থাকে।
২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ১টার সময় কক্সবাজার সদর থানাধীন এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২৪ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টা হতে বিকাল পৌনে ৫টার সময় কথিত সংবাদ কর্মী মনছুর আলম মুন্না নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল হতে চকরিয়া থানার ওসি মোঃ মঞ্জুর কাদের ভুইয়া এর ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ
নাম্বারে বানোয়াট, মিথ্যা এবং অবমাননাকর বিভিন্ন কথা উল্লেখ করে একটি সংবাদ প্রস্তুত করতঃ প্রেরন করে। পরবর্তীতে উক্ত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করার ভয় দেখিয়ে কৌশলে চাঁদাদাবী করে। উক্ত ঘটনায় মনছুর আলম মুন্নার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানার মামলা নং-৩৮, তারিখ- ২৫/১২/২০২৪ ইং, জিআর-৫২৭/২০২৪, তারিখ- ২৫/১২/২০২৪ ইং ধারা- আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন/২০০২ (সংশোধনী/২০১৯) এর ৪(১) দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামী চাঁদাবাজ মনছুর আলম মুন্নাকে বুধবার রাত ১টার সময় গ্রেফতার করা হয়।
চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, মনছুর আলম মুন্না একজন পেশাদার চাঁদবাজ। সে একাধিকবার চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন মামলায় কারাবরণ করে। গ্রেফতারকৃত মনছুর আলম মুন্নাকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কখনো সাংবাদিক, কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ বহু অপকর্মের হোতা মনছুর আলম মুন্না। এরআগে চলতি বছর ৩ এপ্রিল র্যাবের সোর্স পরিচয়ে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচানোর কথা বলে একলাখ টাকা চাঁদা আদায় ও পরে আরো ১লাখ টাকা নেওয়া জন্য হুমকির অভিযোগে পৌরসভার লালদিঘীরপাড় সোনালী ব্যাংকের পাশের গলি থেকে আটক করেছে র্যাব-১৫। এ মামলায় সাড়ে ৪ মাস কারাভোগ করে প্রতারক মুন্না। এর আগে সাংবাদিক কর্তৃক দায়েরকৃত পর্ণোগ্রাফি মামলায়ও র্যাব-১৫ আটক করে এবং বহুদিন কারাভোগ করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, সবার কাছে তিনি পরিচিত সাংবাদিক হিসেবে। সবাই যেন বিশ্বাস করে এজন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ কপি করে নিয়মিত ফেসবুকে পোষ্ট দেন। কখনো গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ছবি তুলেছেন সাংবাদিক প্রমাণে! আবার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি পরিচিত ক্ষমতাবান হিসেবে! কেউবা আবার চেনেন র্যাব পুলিশের সোর্স হিসেবেও! কিন্তু আসলে তিনি একজন মহাপ্রতারক। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করাই তার পেশা। এই প্রতারক মনছুর আলম মুন্না এর আগে কক্সবাজার সদর থানা কর্তৃক ১ম বার আটক (ভুয়া সাংবাদিক ও চাঁদাবাজি মামলায়), র্যাব-১৫ কর্তৃক ২য় বার আটক
(পর্ণোগ্রাফি মামলায়), র্যাব-১৫ কর্তৃক ৩য় বার আটক (চাঁদাবাজি মামলায়) ও চকরিয়া থানা কর্তৃক ৪র্থ বার আটক
(চাঁদাবাজি এবং দ্রুত বিচার আইনে মামলা) হয়। এছাড়া পাবলিক কর্তৃক গণধোলাই খেয়েছে বহুবার। র্যাব এবং বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদা আদায় ও মাদক ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সংবাদ প্রকাশঃ =২৬-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=