Thursday, December 26, 2024
spot_img
More

    এক ছটাকও ধান কিনতে পারেনি। চাউল দিতে অনিহা মিলারদের

    সিটিভি নিউজ।। মানিক ঘোষ, নিজস্ব প্রতিনিধি=========================
    কৃষকের থেকে এক ছটাকও ধান কিনতে পারেনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ খাদ্য গুদাম। আর চাউল ক্রয়ে এ উপজেলার ২৬ জন মিলারের মধ্যে ৬ জন চুক্তি করলেও সামান্য পরিমান চাল দিয়েছে মাত্র একজন মিলার। সবমিলিয়ে এ উপজেলাতে ধান চাল সংগ্রহের চিত্রটি বেশ নাজুক। উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর সরকারীভাবে আমন মৌসুমের ধান চাল ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও কৃষক ও মিলারদের থেকে আশানুরুপ সাড়া মেলেনি। কৃষকদের ভার্ষ্য বাজারে ধানের মূল্য ও সরকারী মূল্য প্রায় সমান। এজন্য খাদ্য গুদামে ধান দিতে তাদের অনিহা। পাশাপাশি চালকল মিলারদের ভার্ষ্য, ধানের বাজার মূল্যের সাথে সরকারী চাউল ত্রয় মূল্য সামনজস্য নেই। এজন্য চাল সরবরাহে তাদেরও অনিহা। জেলার কালীগঞ্জ সহ ৬টি উপজেলাতে প্রায় একই চিত্র। সে কারনেই এ বছর চলতি ২০২৪-২৫ আমন মৌসুমের উৎপাদিত ধান ও চাল ক্রয় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রয়ারী ২০২৫ পর্ষন্ত ধান চাল সংগ্রহের শেষ সময়। কিন্তু উদ্বোধনের এক মাসের বেশি সময় পার হলেও জেলার কোন গুদামেই এক ছটাকও ধান দেয়নি কৃষকরা।

    কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা যায়, এবছর আমন মৌসুমে সরকারীভাবে কৃষক পর্ষায়ে প্রতিকেজি ধান ৩৩ টাকা এবং চালকল মিলারদের থেকে প্রতি কেজি আতপ চাল ৪৬ টাকা ও সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা দরে ক্রয়মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। এবছর এ উপজেলায় ধান ক্রয়ে সরকারী এ্যাপস এর মাধ্যমে কৃষক নির্বাচিত করে ১৪২১ মেঃ টন ধান ও মিলারদের থেকে ১৬০৭ মেঃ টন চাল ক্রয় বরাদ্ধ হয়। এরমধ্যে ৯৬৭ মেঃ টন সেদ্ধ চাল ও ৬৪০ মেঃ টন আতপ চাল ক্রয় করা হবে।

    উপজেলার কোলাবাজারের এমদাদ হোসেন, সাথাওয়াৎ হোসেন সহ একাধিক কৃষকের ভার্ষ্য, বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ধান বিক্রি করছেন ১৩৫০ টাকা থেকে ১৪০০ শত টাকা দরে। আর সরকারী গুদামে নির্ধারিত মূল্য প্রতিমন ১৩২০ টাকা। বাজারের থেকে সরকারী মূল্য কম। এছাড়াও খাদ্য গুদামে ধান দিতে গিয়ে সময় অপচয় ও বাড়তি লেবার খরচও হয়ে থাকে। তাই বাজারেই ধান বিক্রি করছেন তারা।

    ধান ও চাল সংগ্রহের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে কালীগঞ্জ খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, উদ্বোধনের পর এখন পর্ষন্ত কোন কৃষকই ধান নিয়ে গুদামে আসেনি। আর বরাদ্ধকৃত চালের বিপরিতে ২৬ জন মিলারের মধ্যে ৬ জন চুক্তি করলেও মাত্র একজন ডিলার ৬৮ টন চাল দিয়েছে। তবে, গুদামে চাল সরবরাহে এখনো সকল মিলার কেন চুক্তিবদ্ধ সম্পন্ন করেনী এমন প্রশ্নের উত্তরে গুদাম কর্মকর্তা বলেন, ধানের বাজার মূল্য বেশি বলে মিলারগন অনিহা দেখাচ্ছেন। তবে. চাল সরবরাহের জন্য এখনো বেশ সময় আছেন বলে জানান তিনি।

    কালীগঞ্জ উপজেলা হ্যাসকিং ও অটোরাইস মিল এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক পাটোয়ারী মিলের ন্বর্ত্বাধিকারী ওবাইদুল্ল্যা পাটোয়ারী জানান, বর্তমানে বাজারে ধানের দাম চড়া। বাজারেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২/৫৩ টাকা কেজি দরে। সে হিসাবে সরকার নির্ধারিত মূল্য ৪৭ টাকা দরে চাল দেওয়া বেশ অসাধ্য। তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগ কর্তৃক বেধে দেওয়া মূল্যের সাথে বাজার মূল্য ফারাক থাকায় মিলারগন চাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

    এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কোমল চাকমা জানান, জেলার কোন উপজেলাতেই গুদামে ধান নিয়ে আসেনি কৃষকরা। এ কারনে এক বস্তাও ধান কেনা সম্ভব হয়নি। আর চাল ক্রয়ের বিষয়ে জানান, এখন পর্ষন্ত জেলায় বরাদ্ধকৃত চালের মধ্যে ৩০ ভাগ চাল কেনা সম্ভব হয়েছে। মিলাররা তাকে জানিয়েছেন, সরবরাহের শেষ মেয়াদের আগেই তারা অবশিষ্ট চাল গুদামে দিবেন বলে জানান তিনি। সংবাদ প্রকাশঃ =২৫-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments