সিটিভি। নিউজ।। এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি/===============
কুমিল্লা দেবীদ্বারে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ইউএনও’র সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা সহকারী কমিষনার(ভ‚মি) মো. রায়হানুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক(এসআই) শুভ রহমান, জাময়েত-ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলা সাধারন সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম সহিদ, বিএনপি কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, বিএনপি উপজেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুলতান কবির আহমেদ খান, গঙ্গামন্ডল ফাউন্ডেশন’র সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল আউয়াল ভ‚ঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার কাজী আব্দুস সামাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, ন্যাপ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকুর রহমান ফুলমিয়া, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন খান সেলিম, জামায়েত-ই-ইসলামী দেবীদ্বার পৌর আমীর মো. ফেরদৌস আহমেদ, মাওলানা রেজাউল হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সরকার সাকিব এবং সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(সিপিবি) কুমিল্লা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান প্রমূখ।
আলোচকরা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙ্গালী জাতিকে মেধাশূণ্য করার ঘৃণ্য চক্রান্তে তৈরী করা বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নক্সা ১৯৭১’র ১৪ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বাস্তবায়ন করে।
১৯৭১’র ২৫ মার্চ কালো রাত থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তাান শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার অন্ততঃ ১২শত বুদ্ধিজীবীকে ঘর থেকে ডেকে এনে চোখ বেঁধে নিয়ে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। সেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যার তালিকায় দেবীদ্বারের অবনীমোহন দত্তকে বদর বাহিরীর সহযোগীতায় পাক সেনারা চট্রগাম তার নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী অবনীমোহন দত্তের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ প্রয়াত বুদ্ধিজীবীর স্মরণে চট্রগ্রাম বিশ^ বিদ্যালয়ে একটি সড়কের নামকরণ করা হলেও পরবর্তীতে স্বাধীনতা বিরোধীরা ওই ফলকটি নিশ্চিহ্ন করে দেয়। ১৯৯১ সালে সরকার শহীদ বুদ্ধিজীবী অবনীমোহন দত্তের ছবি সম্বলিত ৫ টাকার একটি ডাক টিকেট প্রচার করে। এ ছাড়া ওই বুদ্ধিজীবীর আর কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই। তাই দেবীদ্বারের সন্তান হিসেবে শহীদ বুদ্ধিজীবী অবনী মোহন দত্তের স্মরণে একটি সড়কের নাম করণের দাবী তোলা হয়। ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্কানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে।
বক্তারা আরো বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক সেনাদের সহযোগী স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলসামস বাহিনীর সহযোগীতায় নির্মমভাবে হত্যার শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবী অবনীমোহন দত্ত, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক এমপি, ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, ভারতের পালাটোনা মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ কেম্পের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক এমপি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলী, সাবেক এমএনএ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল আজিজ খান, ন্যাপ-সিপিবি-ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আব্দুল হাফেজ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আজগর হোসেন মাষ্টার, আব্দুল আলীম, আছমত আলী সরকার’র স্মরনে বিভিন্ন সড়ক ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণের দাবী জানান।
ছবির ক্যাপশন ঃ দেবীদ্বারে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা। সংবাদ প্রকাশঃ =১৫-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=
দেবীদ্বারে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায়,- শহীদ বুদ্ধিজীবী অবনী মোহন দত্তের স্মৃতি রক্ষায় দেবীদ্বার হাসপাতাল সড়কের নামকরণের দাবী
আরো সংবাদ পড়ুন