সিটিভি নিউজ।। গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং, কুমিল্লা।। সংবাদদাতা জানান ====
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি।
সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে ভাপা পিঠা ও চিতল পিঠা শীতের আমেজকে বাড়িয়ে তুলে এক অন্য রকম স্বাদ ও আনন্দে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িচং সদর আরাগ রোড, উপজেলা রোড, বুড়িচং টু রামপুর রোডের (আগানগর) রাস্তার মোড়ে,ভরাসার বাজার,কংশনগর বাজার, ফকির বাজার, কালিকাপুর বাজার, শংকুচাইল বাজারে অস্থায়ী দোকান সহ অলি-গলিতে রাস্তার ফুটপাতে ও মোড়ে মোড়ে চলছে বাহারী পিঠা বিক্রির ধুম। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতার সংখ্যা উপচে পড়া ভিড়। এক মনোরম দৃশ্য ধোঁয়া ওঠা, গরম পিঠায় আড্ডা কি চমৎকার ভাবে জমে উঠে পিঠার দোকান গুলো।
মৌসুমি পিঠার দোকানগুলোর অধিকাংশই পরিচালিত হয় নারীদের মাধ্যমে। সংসারে পুরুষের পাশাপাশি উপার্জনে বাড়তি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য দিন দিন বেড়েছে নারীদের এই পিঠার দোকান। এতে করে সংসারে কিছুটা বাড়তি উপার্জন হচ্ছে।
অনেক দোকানে ভাঁপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে চিতই পিঠাও। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। এসব পিঠার স্বাদ পেতে রিকশা-চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, ছুটির দিনে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। আবার কেউ কেউ বাড়িতে পরিবারের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন । এসব পিঠার মধ্যে ভাপা ও চিতই ১০ টাকায় বিক্রি হয়।
পিঠা কিনতে এসে অপেক্ষায় থাকা আতাউর রহমান জানান, শীতের সময় চিতই, ভাপা পিঠা খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নানা রকম ভর্তা দিয়ে গরম চিতই পিঠার স্বাদই আলাদা। এটা গরমের সময় ততটা খাওয়া যায় না। এ সময় পিঠার জন্য দোকানে সিরিয়াল দেওয়া লাগে।
হেলাল বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে ভাপা পিঠা খেতে এসেছি। শীতের আগমন শুরু হয়েছে৷ চালের গুড়া,নারিকেল আর গুড়ের ভাপা পিঠা ছাড়া শীত জমে না।
বুড়িচং বাজারের আরাগ রোডের পিঠা বিক্রেতা মনির হোসেন (৫২) জানান,শীতে চিতই পিঠার চাহিদা বাড়ে। নানা রকম ভর্তা দিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ভিড় লেগে থাকে। একই সঙ্গে ভাপা পিঠাও প্রচুর বিক্রি হয়। শীতের দিনে গরমের যন্ত্রণা থাকে না। লোকজন শান্তি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে খেতে পারে। এ কারণে শীতে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে পিঠা বিক্রি দুই থেকে তিনগুণ বাড়ে।
কালিকাপুর পূর্ব বাজারের পিঠা বিক্রেতা লিটন মিয়া মিয়া জানান,শীত আসতেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। পিঠা বানানো থেকে সবকিছু করতে হয়। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। তিনি ২ টি চুলায় পিঠা তৈরি করেন। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি।
লিটন আরো জানান,বছরের এই সময়টা শীতকালীন পিঠার বেচা-বিক্রি বেশি হয়। তাইতো এই সময়ে দোকানিরা স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করতে পারেন। শীত যত বাড়বে তাদের পিঠা বিক্রিও ততো বাড়বে। সংবাদ প্রকাশঃ =১১-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=