সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে শেখ পরিবারের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের কাউকে নেতা বলা যাবে না। তাদেরকে চোর বলতে হবে। এই চোরেরা নারায়ণগঞ্জে কোনদিন দাঁড়াতে পারবে না। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ক্ষোভে তারা এখন জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল ও সঞ্চালনায় ছিলেন ফতুল্লা থানার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাছান আলী। এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী সুলতান মাহমুদ।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছিল। মানুষকে তারা নির্যাতন করেছে, দেশের ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। এ দেশটাকে প্রায় ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষকে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এ বিএনপিকে দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেকে রক্ত দিয়েছে, অনেকে কারা বরণ করেছে। ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার বৈপ্লবিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এ দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তার সাথে মন্ত্রী পরিষদে যারা ছিল, এমপি ছিল, দলের নেতাকর্মী ছিল, সারা দেশের আনাচে-কানাচে যারা সন্ত্রাসী ছিল তারাও পালিয়ে গিয়েছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মাসকুল ইসলাম রাজিব, জাতীয়দাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম সাদরিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভ‚ঁইয়া, কাশিপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি মাইনুল হোসেন রতন, ফতুল্লা ইউপি বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. খন্দকার আকতার হোসেন প্রমূখ।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত, যারা শেখ হাসিনার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করেছে। স্বৈরাচার সরকার ভারতের তাবেদারি করেছে। ভারতের কাছে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। সেই স্বৈরাচারী সরকার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। ভারত সেটা কি এখনো মেনে নিতে পারে নি। সেই কারণে তারা ষড়যন্ত্র করছে। কি করে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা যায়, বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বৃদ্ধি করতে পারে সেই চেষ্টায় তারা লিপ্ত। আমাদের হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করে এই দেশের দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করছে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের মধ্যে স¤প্রীতি বজায় রেখে সহ অবস্থানে বসবাস করার দেশ বাংলাদেশ। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মুসলমান আমরা একসাথে বসবাস করেছি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আমরা সবাই পাকিস্তানি বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নাই, কোন বিরোধ নেই। যার যার ধর্ম সে স্বাধীনভাবে পালন করবে। এটাই আমরা চাই। সংবাদ প্রকাশঃ =০৭-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=