Monday, December 23, 2024
spot_img
More

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার মন্ত্রী, এমপিরা পালিয়েছে…… সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া

    সিটিভি নিউজ।। মজিবুর রহমান মোল্লা রিপোর্টার, নাঙ্গলকোট===================
    জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী, এমপিরা দেশ থেকে পালিয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছে আমরা তাদের আত্মারমাগফিরাত ও আহতদের সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি। ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার পতনে যে ভূমিকা রেখেছে। জাতি তোমাদের এ কীর্তি মনে রাখবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পুলিশ লীগ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাতো। আর আদালত আমাদের জামিন প্রদান করতো না। গত ১৬বছরে আমাদের অনেক নেতা গুম,খুন হয়েছে। হাজার-হাজার নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় জেলে গিয়েছে এবং তারা ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত ধরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন ও সার্বভোমত্ব বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের এ স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে। দেশ নায়ক তারেক রহমান স্বাইপি এর মাধ্যমে বক্তব্যে বলেছেন, কোন নেতা-কর্মী যাতে চাঁদাবাজি এবং দখলবাজিতে মেন না জড়ায়। মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করে রাজনীতি করতে হবে। বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া গত শুক্রবার রাতে নাঙ্গলকোটের মক্রবপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মক্রবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন।
    বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বি এন পি নেতা মিয়া মোহাম্মদ ইদ্রিস, অধ্যাপক মাহবুবুল হক মজুমদার, আলী আক্কাছ চেয়ারম্যান, মফিজুর রহমান ডিলার, এছহাক মিয়া, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শোয়েব খোন্দকার, উপজেলা যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম ছুপু চেয়ারম্যান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র দল নেতা মাসুম বিল্লাহ, পৌর সভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মুকুল, জেলা জাসাস যুগ্ম আহবায়ক সয়েম মজুমদার শিপু, উপজেলা যুব দল নেতা এস এম নাছির উদ্দীন, সেলিম জাহাঙ্গীর মন্টু, মক্রবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবদুল মন্নান, উপজেলা ছাত্র দল নেতা শহিদুল ইসলাম, মাহফজুর রহমান প্রমুখ।
    আবদুল গফুর ভূঁইয়া আরো বলেন,২০০১ সালে আপানারা আমাকে সংসদে পাঠিয়েছেন। আমি দুই দিন এলাকায় থেকে এবং অবশিষ্ট পাঁচ দিন ঢাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে গিয়ে নাঙ্গলকোটের উন্নয়নে বিভিন্ন বরাদ্ধ এনেছি। ওই সময়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নাঙ্গলকোটে এনে বিদ্যুৎ গ্রাহক ৬ হাজার থেকে ৩৫ হাজারে উন্নীত করেছি। এলাকার স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট,মক্তব, মসজিদের ব্যাপক উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি গফুর ভূঁইয়াকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার জন্য আপনারা যে পরিশ্রম করেছেন। আমি তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি। রাজনীতি হচ্ছে সেবার মাধ্যম। অনেকে রাজনীতিকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু রাজনীতি ত্যাগের, ভোগের জন্য নয়।
    আবদুল গফুর ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আগামীতে আপনারা কি আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান ? এসময় নেতা-কর্মীরা সমুচ্চরে তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, নাঙ্গলকোট আবারও স্বতন্ত্র সংসদীয় এলাকা হবে। আমি বিএনপি থেকে নাঙ্গলকোটের স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনে নির্বাচন করবো। সময় এসেছে দেশকে আবার নতুন করে গড়ে তোলার। নাঙ্গলকোটে এখনো অনেক কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। প্রত্যেক বাড়ির সংযোগ সড়ক পাকাকরণ করা হবে। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মক্তব ও মসজিদের উন্নয়ন করা হবে। প্রত্যেক এলাকায় কুটির শিল্প স্থাপন করা হবে। আমি বিভিন্ন কলেজে দেখেছি, দুই ভাগ মেয়ে এবং এক ভাগ ছেলে শিক্ষার্থী রয়েছে। কুটির শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে মেয়েদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তারা পণ্য উৎপাদন করবে। সে পণ্য দেশ এবং বিদেশে রপ্তানি করা হবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে ই সেন্টার স্থাপন করা হবে। সার্ভিস অরিয়েন্টশান কাজ করবো। যাতে করে ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারে। সংবাদ প্রকাশঃ =০৭-১২-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments