Monday, December 23, 2024
spot_img
More

    ভয়াবহ আর্সেনিক ঝুঁকিতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাবাসী

    সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান ==== কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের মানুষের মাঝে আর্সেনিক আতংক বিরাজ করছে। উপজেলা বাসীর প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ আর্সেনিকের এ ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে। যা উপজেলার সর্বমোট মানুষের প্রায় ৩২ শতাংশ। উপজেলার

    বিভিন্ন এলাকায় অনেক অগভীর নলকূপের পানিতে অতিমাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গেছে। নিরাপদ পানির অভাবে অনেকে মানুষ জেনে, অনেকে না বুঝে এসব পানি পান করছে এবং বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করছে। ফলে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করে আর্সেনিকোসিস রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া অনেক এলাকার মানুষ জানেনা আর্সিনিকের ভয়াভহতা।
    ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ রয়েছে ৬ হাজার ৩৭১ টি। ইউনিয়ন অনুযায়ী মাধবপুর ৭৫০ টি, সিদলাই ৫৮৯ টি, চান্দলা ৫৯৪ টি, শশীদল ৮৪৮ টি, দুলালপুর ৬৭০ টি, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ১৫০৪ টি, সাহেবাবাদ ৭৮১ টি ও মালাপাড়া ৬০৮ টি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসেবে অনুযায়ী উপজেলায় ২ লাখ ৩২ হাজার ৬২৮ জনসংখ্যার মধ্যে

    যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল। এছাড়াও উপজেলায় প্রায় অর্ধ লক্ষাদিক অগভীর নলকূপের পানিতে মারাত্মক পর্যায়ে আর্সেনিক রয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে মধ্যে আর্সেনিকের বেশি ঝুঁকিতে ব্রাহ্মণপাড়া (সদর), মাধবপুর, চান্দলা, ও সিদলাই ইউনিয়ন।
    উপজেলার এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষ আর্সেনিক কি? এ রোগ হলে কি হবে। এ রোগের লক্ষণ কি কিছুই তারা জানেনা। এছাড়া জনস্বাস্থ্য বিভাগের মতে এলাকায় অনেক গ্রামেই আর্সেনিকের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। এবং অনেক লোক অসুস্থ হয়েছে ও কিছু কিছু লক্ষণ ধরা পড়েছে।
    জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রাহ্মণপাড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০২০-২০২১ সালে পুরো উপজেলায় ২০ হাজার টিউবয়েল আর্সেনিক পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ১৩ হাজার ৫ শত টিউবয়েলে আর্সেনিক মুক্ত বাকি ৬ হাজার ৫ শত টিউবয়েলে আর্সেনিক রয়েছে। এ অনুযায়ী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ৩২ শতাংশ বা ৭৫ হাজার মানুষ আর্সেনিক যুক্ত পানি পান করছে। যা এই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
    এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রাহ্মণপাড়া উপ- সহকারী প্রকৌশল জাহিদ হাসান জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় যে টিউবওয়েল গুলোতে আর্সেনিক রয়েছে আমরা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছি এসব টিউবলের পানি খাওয়া ও রান্নাবান্না করা যাবে না। এবং আমরা আমাদের কার্যালয়ে বিনামূল্যে আর্সেনিক পরীক্ষা করে থাকি এবং সাধারণ মানুষদের মাঝে পরামর্শ দিয়ে থাকি।
    এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, পানির মাধ্যমে মানুষের চামড়ায় এ রোগ পরিলক্ষিত হয়। আর্সেনিক একটি রাসায়নিক উপাদান। এ রোগের ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত ঔষধ ও নিরাপদ আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করবে এবং ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এ ছাড়াও এ রোগ হলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে যায় নিয়মিত ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খেলে এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স.ম.আজাহারুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আর্সেনিকের ভয়াবহতা থেকে আমরা নিরসনের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে আমরা কিছু গভীর নলকূপ এর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের সদর ইউনিয়নের নাইঘরে ৩৫০ পরিবারের জন্য সুপের পানি ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি ব্যবস্থার জন্য আরেকটি কার্যক্রম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ প্রকাশঃ =১৮-১১-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments