Friday, December 27, 2024
spot_img
More

    আদালতের নির্দেশ অমান্য  করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে

    সিটিভি নিউজ।। আরেফীন রুমেল সংবাদদাতা জানান=== কুমিল্লা নগরীর আশ্রাফপুর (নোওয়াগাঁও চৌহমুনী) এলাকায় আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে জোরপূর্বক নালিশী ভূমির উপর ভবন  নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আজাদ হোসেন নামের এক কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আজাদ হোসেন কুমিল্লা নগরীর শাকতলা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ২১ নন্বর ওয়ার্ড কৃষকলীগের নেতা।

    মামলার বরাত দিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফপুর মৌজার বিএস ১০৩ নম্বর খতিয়ানের সাবেক ৪২০ নম্বর এবং হালদাগ ২৫৭১ দাগের ০১৯৪ শতক জমির পৈতৃক সূত্রে মালিকানা শাকতলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ওয়ারিশরা। ওই সম্পত্তির পাশে অভিযুক্ত কৃষকলীগ নেতার পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। গত ৩১ আগস্ট দুপুরে কৃষকলীগ নেতা আজাদ, তার ভাই আউয়াল কবির এবং মান্নান গং আব্দুল মালেকের মালিকানা সম্পত্তি জোর করে দখল করতে যায়। এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দখলে বাধা দিলে দখল না করেই চলে যান আজাদ ও তার ভাইয়েরা। পরবর্তীতে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন মৃত আ. মালেকের ছেলে মারুফ আরেফীন রবিন। মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।

    ওই মামলায় আদালত সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল মিয়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা দুলাল মিয়া গত ১০ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত ওই জমির ওপর পক্ষ এবং বিপক্ষকে স্থাপনা নির্মাণসহ যেকোনো ভোগদখল থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

    কিন্তু দখল চেষ্টাকারী কৃষকলীগ নেতা আজাদ ও তার ভাইয়েরা আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে আব্দুল মালেকের মালিকানা ওই জমিতে প্রভাব খাটিয়ে যেকোনো মালামাল আনা নেওয়া করছেন বেশ কয়েকদিন ধরে। গত সোমবার রাতের আঁধারে ওই সম্পত্তির ওপর দুইপাশে দুইটি গ্রেড বিম তৈরি করে ফেলেন অভিযুক্ত আজাদ ও তার ভাইয়েরা। যা আদালতের নির্দেশনা সুস্পষ্ট লংঘন। আদালত অবমাননার সামিল।

    অভিযুক্ত আজাদ হোসেন বলেন, আমি আদালতের নির্দেশ অমান্য করিনি। আমি আমার জায়গার ওপর কাজ করেছি, তাদের জায়গাতে যাইনি।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল মিয়া বলেন, মামলার পর আদালত আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিলে আমি তদন্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আমাদের হাতে তেমন কিছু আর থাকে না। তবুও বাদির মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। দুই পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করেছি। কেউ যদি আইন হাতে তুলে নেয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় আদালতের অন্য কোনো নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    সংবাদ প্রকাশঃ =০৬-১১-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments