সিটিভি নিউজ।। মানিক ঘোষ, নিজস্ব প্রতিবেদক:-------------
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নায্য মূল্যের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নায্য মূল্যের এই দোকান থেকে পণ্য কিনে খুশী ক্রেতাগণ।
সোমবার (২৮ শে অক্টোবর) শহরের পুরাতন গোহাটা মসজিদ সংলগ্ন দোকানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। নায্য মূল্যের এই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। দোকানটি সকাল ৯টায় শুরু করা হয়।
নায্য মূলের এ দোকানে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১২০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা কেজি, প্রতিপিস লাউ ৪০ টাকা, কাঁচা ঝাল ১১৫ টাকা, কলা ৪০ টাকা, আমড়া ২৫ টাকা, ভেন্ডি (ঢেড়স) ৪৫ টাকা, বেগুন ৬৫ টাকা, পুইশাক প্রতি আটি ২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, মিট পুল্লা ৩৫ টাকা, পেয়ারা ৩৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি সিম ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। যা খুচরা বাজারের মূল্যের অনেক সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।
কলেজ পাড়ার গৃহিনী রুপালী বেগম বলেন, বিনা লাভের দোকানের খবর পেয়ে দেখতে আসি। দেখে ভালো লাগলো। দামও সাশ্রয়ী, যা বাজারদর থেকে অনেক কম। তাই এখান থেকে প্রয়োজনী পণ্যগুলো কিনলাম।
থানা রোডের চাকুরীজীবি বাসিন্দা জাহিদ হোসেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ ভালো লাগলো তাই তাদের নায্য মূল্যের দোকান থেকে প্রয়োজনী পন্যগুলো কিনলাম। বাজারদর থেকে এখানে অনেক কম দামে পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ ৭০-৭৫ টাকা পোয়া। আর এখান থেকে ৬০ টাকায় পেলাম। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বিনা লাভে বিক্রি হচ্ছে এটা চলমান রাখতে পারলে জনসাধারণ উপকৃত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের মাহফুজুর রহমান ঈশান বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা জনতার পাশে থাকতে কৃষকদের নিকট থেকে পণ্য কিনে ওই দরেই বিক্রি করছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক হুসাইন মাহমুদ বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এই বিনা লাভের দোকানে সময় দেওয়ার একটাই কারণ, তা হলো জনমনে স্বস্তি ফেরানো। আর এই স্বস্তি আনা সম্ভব বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। যা সফল করতে হলে বাজার সিন্ডিকেট ভাঙা জরুরি। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলার পক্ষ থেকে এই কাজটি করতে আমরা তৎপর রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে “নায্য মূল্যের দোকান” বসানো হয়েছে। সব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ভাঙতে এই উদ্যোগ। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যতদিন বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না ততদিন আমাদের কার্যক্রম চালু থাকবে। হাতবদলে প্রতিটি স্তরে স্তরে দাম বৃদ্ধি পায়, তাই সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। মানুষের মুখে হাসি ফুটছে, এতেই আমরা আনন্দিত। আমরা সবাই যদি সচেতন হই, তাহলে এই বাজার সিন্ডিকেট রুখে দেওয়া সম্ভব।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্য পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি কৃষকদের থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তারা। সংবাদ প্রকাশঃ =২৯-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=