সিটিভি নিউজ।। নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি====================
চিরকুট লিখে ভিডিও কলে স্বামীর বাড়িতে প্রেমিকা ও প্রবাসে প্রেমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ছয়টার দিকে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেতুয়ায় এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত ১১টায় ওই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করে।
মৃতের নাম খাদিজা আক্তার উর্মি (১৫)। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উর্মি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন মাটিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ছিল। গত ১৪ অক্টোবর লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের বেতুয়া (কৃষ্ণপুর) গ্রামে গোপনে তার তার বিয়ে হয়।
অপরদিকে আরেক মৃতের নাম সাফায়েত হোসেন (২৩)। ওমান প্রবাসী এই যুবক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা ছিল।
উর্মির চিরকুটে লেখে, দুই জন একসঙ্গে বাঁচতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দিলে না।…তোমরা সুখে থেকো। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না, ও বেঁচে থাকলে তোমারও তাকে খুন করতে, ওর পরিবারকে জেলের ভাত খাওয়াতে।… তাই নিজেও দুনিয়া ছাড়লাম।… আপনাদের কাছে শেষ ইচ্ছা, দুই জনের কবর একসঙ্গে দিয়েন।
এদিকে প্রবাসী সাফায়াত মৃত্যুর আগে চিরকুটে লিখেছেন, শেষ ইচ্ছে পূরন করার দায়িত্ব আপনাদের। আমার মৃত্যুর কারণ একমাত্র ফ্যামিলি। আমার মোবাইলে সব রেকর্ড করা আছে। ….আমাদের মৃত্যুর কারণ তারা। কোনো দিন ক্ষমা করবো না।
উর্মির মা নুরুন্নাহার জানান, গত ১৪ অক্টোবর মেয়েকে বিয়ে দেই। স্বামীর বাড়িতে হাসি খুশিতেই ছিল। শনিবার রাতে হঠাৎ শুনি উর্মি ও তার প্রেমিক সাফায়েত ভিডিও কলে আত্মহত্যা করেছে।
প্রবাসী সাফায়াতের বাবা আবদুল খালেক বলেন, একবছর আগে ছেলেকে ওমান পাঠিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে ছেলে হঠাৎ বিদেশে কর্মস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। খবর নিয়ে শুনলাম ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আমার ছেলের সাথে উর্মি নামের এক মেয়ের পরিচয় হয়েছিল। হঠাৎ মেয়েটির বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে গেছে। শনিবার রাতে সেই মেয়ে আমার ছেলের সাথে ভিডিও কলে চিরকুট লিখে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলেসহ দুটি জীবনের আলো নিভে গেছে। তিনটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জন্য আমি মেয়ের বাল্য বিয়েকে দায়ি করি। বাল্য বিয়ের সঙ্গে জড়িত নিকাহ রেজিস্টারসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ছেলের চিরকুট হাতে পেয়েছি। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা করবো।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, বিয়ের ১৩তম দিনে নববধূ প্রবাসী প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। শুনেছি প্রবাসী প্রেমিকও একইভাবে আত্মহত্যা করেছে। একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নববধূর ভাই বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। সংবাদ প্রকাশঃ =২৮-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=