সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান ======
ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার শিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকির মুখেই শিক্ষার্থীদের পাঠ দেওয়া হচ্ছে ভবনটিতে। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত চারটি ভবনের একটিকে আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর আরও দুটি ভবনও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে ১ হাজার ৫৬ শিক্ষার্থী পাঠ নিচ্ছে। এটি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা কেন্দ্র। সাম্প্রতিক বন্যা শেষে বিদ্যালয়টির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে চারটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের একটি ভবন বেশ কিছুদিন আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনটি ভবনে বর্তমানে বিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান চালানো হচ্ছে। তবে এই তিনটি ভবনের মধ্যে সাম্প্রতিক বন্যা শেষে পরিত্যক্ত ভবনের পাশের দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভাঙা ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে ফাটল ধরেছে। মেঝে কিছুটা দেবে গেছে, আবার কোথাও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও খসে পড়ছে দেয়ালের আস্তরণ। । পলেস্তারা খসে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড। অন্য উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দেওয়া-নেওয়ার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ভবনগুলোতে ফাটল ধরায় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নেওয়া অবস্থায় তারা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। পাঠ নেওয়া অবস্থায় কখনো কখনো ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে, এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের একটি ভবন আগেই পরিত্যক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি আরও দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল হক ভূইয়া বলেন, বিদ্যালয়ের তিনটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। বন্যার পর থেকে এসব ভবনের বিম, ছাদ ও দেয়ালে ফাটলসহ শ্রেণিকক্ষের মেঝে নিচের দিকে দেবে গেছে। প্রতিটি ভবনই পুরোনো হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় অনেক বছর ধরে আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নতুন একাডেমিক ভবনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, শিদলাই আশরাফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে এস্টিমেট নিয়ে গেছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের ঝুঁকির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন তাদের কোনো ক্ষতি না হয়। সে লক্ষ্যে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিহীন জায়গায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে বলা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশঃ =১৩-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন