Wednesday, November 13, 2024
spot_img
More

    ক্রেতা বিক্রেতায় সরগরম ব্রাহ্মণপাড়ার ধানের চারার হাট

    সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান —======
    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আমন ধানের চারা ক্রয় বিক্রয়ে ধুম পরেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটে এ ধানের চারা নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতারা সরগম। চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু পাওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে খুশি।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের চান্দলা সাহেবাবাদ ও বড়ধুশিয়ায় সপ্তাহে দুদিন বসে এ চারার হাট। এ ছাড়াও উপজেলার সিদলাই, মালাপাড়া ও দুলালপুর হাটেও চলে চারা বেচাকেনা।

    এ বছর ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী ও সালদানদীর আইল ভেঙে পুরো উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে আগাম আমনের বীজতলা সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। এতে ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের। পরবর্তী সময়ে প্রান্তিক কৃষক দ্বিগুণ খরচ ও পরিশ্রমে আমন ধানের চারা উৎপন্ন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে চারা বিক্রির করছে উপজেলার বাজার গুলোতে।

    বন্যার পর কৃষকেরা আমনের বীজতলা তৈরির সময় জমিতে পানি থাকায় আমনের বীজতলা তৈরিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিছু কৃষক উচু জমিতে বীজতলা তৈরি করে। বন্যা পরবর্তীতে সময়ে জমিতে প্রয়োজনীয় পানি ও পলি থাকায় আমনের চারা রোপনের এখনো সময় আছে বলে মনে করে কৃষকেরা। ফলে অন্য বছরের তুলনায় এবার রোপা আমন ধানের চারা বেচাকেনা তুলনামূলক বেশি হচ্ছে বলে জানান আমন চারা বিক্রেতারা।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে এ বছর যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। এর পর শুরু হয় ব্রাহ্মণপাড়ায় আকস্মিক বন্যা যার ফলে বীজতলা পানিতে তলিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। চলতি মৌসুমে আমনের বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৬ হেক্টর, অর্জিত হয়েছিল ২০৫ হেক্টর।কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে অর্জিত বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ।এ উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    চান্দলা বাজারে ধানের চারা বিক্রয় করতে আসা উপজেলার সিদলাই গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, বন্যার পরে আমি উপজেলা কৃষি অফিসারগণের পরামর্শে বিএডিসি অফিস থেকে ৪৫ কেজি ধান সংগ্রহ করে ১৫ শতক জমিতে চারা ফলাই। এতে যে ধানের চারা হয়েছে তা দিয়ে আমার ১২০ শতক জমিতে চারা রোপণ করে বাকি চারা আমি ৩ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি এবং আমি আরও ২ হাজার টাকার চারা বিক্রি করতে পারব।

    সাহেবাবাদ বাজারে চারা বিক্রেতা কৃষক কফিন মিয়া বলেন, আমি প্রতি আমন মৌসুমে চারা বিক্রি করে থাকি। বন্যার পর আমি ১২ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করি। নিজের জমি রোপণ শেষে অবশিষ্ট চারাগুলো বিক্রি করি। এ বছর ধানের চারার চাহিদা একটু বেশি।

    সাহেবাবাদ বাজারে আমনের চারা ক্রয় করতে আসা উপজেলার নাইঘর গ্রামের কৃষক আলী আক্কাস জানান, আমি প্রতিবছর এই বাজার থেকে চাহিদা ও পছন্দমতো ধানের চারা ক্রয় করে, আমার জমি আবাদ করে আসছি। তবে এবছর বন্যার পর চারার দাম তুলনামূলক বেশি।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। কিন্তু বন্যার কারণে আমাদের ব্রাহ্মণপাড়া সমস্ত বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। বন্যার পর এখনো বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বীজতলার ঘাটতি পূরণেও আমরা আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি। তবে আমন রোপণে চারার ঘাটতি হবে না। আমন চাষ উপযোগী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশা করছি। সংবাদ প্রকাশঃ =০৫-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments