সিটিভি নিউজ।। নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মোমবাতি নিজে পুড়ে আলো দেয়, অন্ধকার দূর করে, সেই মোমবাতি হওয়া কিন্তু সহজ কাজ নয়। কারণ আলো দেওয়ার জন্য আগে নিজেকেই পুড়তে হয়।
বিখ্যাত কবি, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির কথা এটি। রুমীর কথাটা শুনতে খুব সহজ হলেও নিজেকে পুড়িয়ে আলো দেওয়ার কাজ ভীষণ কঠিন। কারণ নিজে পুড়ে যারা, সমাজ বা রাষ্ট্রে আলো জালা বা জ্বালানোর চেষ্টা করে তারা কতোটা পুড়ে আমরা অনেকেই সেটা অনুধাবন করতে পারি না। তবু কেউ কেউ সেই কাজটা করে। করতে হয়। নিজেকে পোড়ানোর যন্ত্রণা জানতেন বলেই রুমী আবার সমস্যার সমাধানও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তোমার হৃদয়ে যদি আলো থাকে, তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে। তার মানে নিজেকে পুড়িয়ে মানুষকে আলো দেখাও। তুমি নিশ্চয়ই হারবে না। ওপরওয়ালা আমাদের ক্ষমা করুন। আমরা যেন বিনয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে চলতে পারি। যেন সত্যিকারের মানুষ হতে পারি, মানুষের কথা ভাবতে পারি। সবসময় যেন সৎ থেকে আয়টা হালাল রাখতে পারি। যেন সবসময় মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারি। যেন সাধারণ জীবন যাপন করতে পারি। আসলে এই কয়েকটা ছোট কথা মাথায় রাখলে দুনিয়ার প্রায় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এ কারণেই বোধহয় রুমী বলেছেন, প্রদীপ হও, কিংবা জীবনতরী, অথবা সিঁড়ি। কারো ক্ষত পূরণে সাহায্য করো। অনেকদিন ধরে আমি এই কথাগুলো লিখছি। আমার খুব প্রিয় দর্শন এইরকম যে ভালো মন্দ দুঃখ কষ্ট যে অবস্থাতেই থাকি না কেন আরেকজন মানুষের পাশে থাকতে হবে। আর এর মাধ্যমেই আনন্দ নিয়ে বাঁচা যায়। শুভ সকাল সবাইকে। শুভ সকাল বাংলাদেশ। আসুন সবাই মিলে পরষ্পর ভালো থাকি। ভালো রাখি। সবার কথা ভাবি। মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের পাশে দাঁড়াই। আরেকজনের ক্ষত পূরণে সাহায্য করি। প্রদীপ হই, কিংবা জীবনতরী, অথবা সিঁড়ি। কারণ মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যেই জীবনের আসল জীবন। বিনয়ী ও মার্জিত হতে হবে আমরা অন্যকে যা বলি বা অন্যের সঙ্গে যা করি, সেগুলো আসলে আমাদের নিজেদের ব্যক্তিত্বেরই প্রতিনিধিত্ব করে। ধরুন কেউ যদি আপনার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করে, তবুও আপনি বিনয়ের সঙ্গে তার কথার প্রত্যুত্তর দিন। এতে কিন্তু এটা প্রমাণ হয় না যে ওই মানুষটির অবস্থান আমার চেয়ে অনেক উপরে, আপনি ভয় পেয়ে তাকে সম্মান দিচ্ছেন। অন্যের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করতে পারাটা মানুষের অনেক বড় অভ্যাস। বিনয় কিংবা মার্জিত আচরণ মানুষের দুর্বলতা নয়। সবসময় অন্যের প্রতি বিনয়ী থাকা, মার্জিত আচরণ করা মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তিমত্তার জায়গা। একথা গুলো বলছেন, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বাঙ্গরা বাজার থানা ৭নং বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দীঘিরপাড় গ্রামের নোয়াব সরকার সাহেব বাড়ীর মৃতঃ মোঃ মিজানুর রহমান (পলিশ) ছেলে ও কুয়েত প্রবাসী মোঃ বাবুল মিয়া। তিনি আরো বলেন, আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠন ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। গরীব অসহায় মেয়েদেরকে বিবাহের অর্থ দান, বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের বই খাতা কলম বিতারণ, এবছর কুমিল্লায় বয়াবহ বন্যর্থদের মানুষকে আর্থিক সহায়তা, করোনাকালীন সময়ে মানুষের ঘরে ঘরে গোপনে অর্থ প্রদান। কুয়েতে যারা বিভিন্ন সময়ে সমস্যা পরছে তাদেরকে সহায়তা করে থাকি। সমাজের উন্নায়নমূলক কাজে নিজেকে জড়িত রাখতেই পছন্দ করেন, কুয়েতের মাটিতে শত কষ্ঠের পরেও নিজ মাতৃভূমি দিঘীরপাড় গ্রামবাসীদের বিপদে আপদে ঝাপিয়ে পড়েন। প্রবাসী ভাইবোনদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,ইসলামী মূল্যবোধকে সামনে রেখে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ব্যাংকের মাধ্যমের বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠাই। নতুন সরকারকে দেশ ঘটনের সহায়তা করি। সংবাদ প্রকাশঃ =০৩-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=
মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যেই জীবনের আসল জীবন
আরো সংবাদ পড়ুন