সিটিভি নিউজ।। মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী, সংবাদদাতা জানান ==== :
মৌলভীবাজারে এ বছর ৭টি উপজেলায় সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে সর্বমোট ৯৯৩টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে বিগত বছর মণ্ডপের সংখ্যা ছিল হাজারের ওপরে।
এদিকে নানা পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে এ বছর মণ্ডপের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
১৩ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাৎসব। এদিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত এই উৎসবকে ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। অপরদিকে পূজা মণ্ডপ ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে। আর কিছুদিন পর মণ্ডপে মণ্ডপে বেজে উঠবে ঢাকঢোল। শঙ্ক আর উলু ধ্বনির মধ্যে লাখো সনাতন ধর্মালম্বীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে মণ্ডপ প্রাঙ্গন।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় এবছর ৯৯৩টি পূজা মণ্ডপ ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তাছাড়া ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক চা-বাগান পরিবেষ্ঠিত মৌলভীবাজারে দুর্গাপূজার নানা আনুষ্ঠানিক ও নান্দনিকতা এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
এদিকে ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এবারের পূজা উদযাপন নিয়ে নানা শঙ্কা থাকলেও অবশেষে পূজার সার্বিক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিমা তৈরির জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও মাঠি, খেড়, বাশসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তাছাড়া বিগত বছরের চেয়ে এ বছর দুর্গা প্রতিমার সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
তবে প্রয়োজনীয় বাশের দামও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও মন্দিরের সাজসজ্জা, রঙের কাজ। ধোয়া-মোছা, তোরণ ও প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে।
তাছাড়া মায়ের পূজা বলে কথা তাই যত কষ্ট বা পরিশ্রম হোক সময়মতো প্রতিমার কাজ শেষ করতে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন বলে জানালেন প্রতিমা শিল্পী হনু পাল।
এদিকে চা-বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় দুর্গাপূজা এলে প্রায় শতাধিক চা বাগানের সাত লক্ষাধিক চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর মাঝে দেখা দেয় অন্য রকম এক আনন্দ। সারা বছর তারা অপেক্ষা করেন এই দিনগুলোর জন্য।
তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিসহ অনেক বাগানে শ্রমিকদের মজুরি ও পূজার বোনাস দেওয়া নিয়ে মালিক পক্ষের নানা টালবাহানার কারনে হতাশা দেখা দিয়েছে। তাই পূজার আগে এসব বাগানসহ প্রতিটি বাগানে মজুরি বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়েছেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা।
পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সচিন বৈদ্য জানান, জেলার প্রতিটি উপজেলায় নিবিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটিসহ প্রতিটি উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটি প্রতিদিন মণ্ডপে মণ্ডপে মিটিং করে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছেন।
পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ও পাঁচ দিনের বৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কয়েকটি টিম মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া মণ্ডপগুলোতেও কঠোর নজরদারি থাকবে।
জেলায় সর্বমোট ৯৯৩টি পূজামণ্ডপে সারম্বরে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে সার্বজনীন পূজামণ্ডপ রয়েছে ৮৫৩টি ও ব্যক্তিগত পূজামণ্ডপ রয়েছে ১৪০টি।
এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও প্রায় হাজারের মতো পূজামণ্ডপ থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজাকে ঘিরে মিটিং করে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
এদিকে প্রতিবছর দুর্গাপূজায় আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ও পার্শ্ববর্তী ভারত থেকেও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মৌলভীবাজার জেলার বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত শত শত পূজা মণ্ডপ দেখতে ও নজরকাড়া বিসর্জনের শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় করেন। ফলে টানা পাঁচ দিন কয়েক লাখ মানুষের পদভারে মুখরিত থাকবে সবগুলো পূজা মণ্ডপ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। সংবাদ প্রকাশঃ =০২-১০-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=