সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।।=সংবাদদাতা জানান ======
কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় বালিনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন। গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুরে মাদ্রাসায় নিজ অফিস কক্ষে বসে এলাকাবাসীর কাছে এ পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন।
এলাকাবাসী ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জানান, অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসার ফান্ডের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট (বালিনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা) হতে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। যৌথ একাউন্টে ব্যাংকের চেকের মধ্যে সভাপতির স্বাক্ষর দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জনতা ব্যাংক থেকে ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এছাড়া সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের পারফর্মেন্স বেজড গ্র্যান্ডস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন্স (পিপিজিএসআই) এর ১৫ জন ছাত্রের ৫ হাজার করে ৭৫ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে কাগজপত্রে টাকা প্রাপ্তির স্বাক্ষর থাকলেও কোন শিক্ষার্থী টাকা পায়নি।
টাকা পেয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে, শিক্ষার্থী নাবিলা, মানসুরা ও নুসরাত নামে তিন জানান তারা টাকা পাননি এবং এই স্বাক্ষর ও তাদের নয়।
এব্যাপারে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য কাজী তাজুল ইসলাম বলেন, উনি ( অধ্যক্ষ) মাদ্রাসায় কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে সভাপতি স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সময় টাকা উত্তোলন করেছেন।
ফরিদ উদ্দিন নামে স্থানীয় অপর একজন জানান, তিনি শিক্ষার্থীদের ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করেছেন, এছাড়া তার নামে আরো অনেক অভিযোগের কথা আমরা জেনেছি।
এলাকাবাসী আরো জানান মাওলানা অধ্যক্ষ ওয়ালি উল্লাহ মাদ্রাসার ফ্যান ব্যক্তিগতভাবে বাড়িতে নিয়ে ব্যবহার করেন এবং মাদ্রাসার টাকায় মোবাইল কিনে তিনি মোবাইল ব্যবহার করেন। অধ্যক্ষ পাশের একটি রুমে বিছানা পত্র, খাট, ওভেনসহ ব্যক্তিগতভাবে আরাম আয়েশ করার জন্য ঘর বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন।
মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ গোলাম সাদেক চৌধুরী বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব আসলে কিভাবে টাকা উত্তোলন করছেন, কি করেন নাই আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। কিন্তু ৭৫ হাজার টাকা শিক্ষার্থীরা পায়নাই এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জেনেছি।
বালিনা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এই ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার উত্তোলন করে মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেছি। কিন্তু সভাপতি স্বাক্ষর জাল করার কথা বললে উনি জানান বিভিন্ন সময় সভাপতি এলাকায় না থাকায় চেকে অগ্রিম স্বাক্ষর করে রেখে যেতেন।
শিক্ষার্থীদের ৭৫ হাজার টাকার বিষয়ে উনি বলেন, আমি টাকা উত্তোলন করে শিক্ষার্থীদের কাছে দেই নাই, খোরশেদের কাছে ৭৫ হাজার টাকা জমা রেখেছি এটা উনি শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য দিয়ে দেবেন। তাছাড়া তিনি পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, আমাকে জোর করে বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগ করতে।
মাদ্রাসার সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় এ টাকা উত্তলনে আমি চেকে সই দেয়নি। উনি (অধ্যক্ষ) কিভাবে টাকা উত্তোলন করছে এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয়ে উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি উক্ত মাদ্রাসার সর্বশেষ কমিটি ও প্রিন্সিপালসহ সকলকে আগামীকাল আমার অফিসে ডেকেছি। সংবাদ প্রকাশঃ =২৩-৯-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=