Thursday, November 14, 2024
spot_img
More

    ব্রাহ্মণপাড়ায় রোপা আমন চাষাবাদে কৃষকের শঙ্কা

    সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।।== সংবাদদাতা জানান =====
    কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় রোপা আমন চাষে কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেক কৃষকের আমনের বীজতলা ও জমিতে চারা রোপনের পর বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গিয়ে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমন চাষাবাদে বড় রকমের লোকসানের আশঙ্কায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকেরা।পুরো ভাদ্র মাস জুড়ে বন্যার কারণে ডুবে যায় আউস ধান এবং পঁচে যায় রোপা আমনের বীজতলা। তাই এবছর আউস ধানের পাশাপাশি ব্যাহত হবে আমন ধান উৎপাদন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেলেও নিচু জমিতে এখনো পানি রয়েছে, ফলে নিচু জমিতে রোপা আমন রোপনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া দেরিতে ধান রোপনে ফলন কম হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। বন্যায় বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমনের চারা বিভিন্ন স্থান থেকে বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে।

    ধান্যদৌল গ্রামের কৃষক জামাল মিয়া বলেন, আমি আমার ৩০ শতক জায়গা রোপন করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন উপজেলার মিরপুর এলাকা থেকে বেশি দাম দিয়ে আমনের চারা কিনে আনছি। ৩০ শতক জায়গা রোপন করতে প্রায় ৩ হাজার টাকার চারা লাগছে। এ ছাড়া চাষা, সার ও কাজের লোকের পেছনে প্রায় আরো তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হলে ভাল কিছু আশা করি।

    চান্দলা গ্রামের কৃষক মোবারক মিয়া বলেন, ৬০ শতক (১কানি) জায়গার মধ্যে আমনের চারা রোপণ করেছিলাম। বন্যায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় রোপন করতে হলে এখন দ্বিগুণ খরচ হবে। এছাড়া ধানের চারা পাওয়া যাচ্ছে না, যদি পাই তাহলে আবারো রোপণ করব। যদি ক্ষতিটা পুষিয়ে আনা যায়।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এবারের বন্যায় উপজেলার ০৮ টি ইউনিয়নে রোপা আমনের ৫ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। কিন্তু গোমতী ও সালদানদী ভাঙাপড়ে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়ে যায়। বন্যার আগে আমনের লক্ষমাত্র আর্জত হয়েছিল ১২শত ১৫ হেক্টর। যা সমস্ত জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পুনরায় আমনের চাষ করতে ২৭৩ হেক্টর জমির বীজতলা প্রয়োজন। কিন্তু বন্যায় বীজতলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পুরো উপজেলাতে আমনের চারার চরম অভাব দেখা দিয়েছে।

    এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়াউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ রানা বলেন, বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে রোপা আমন মৌসুমে ধানের চারা পুরো নষ্ট হয়ে যায়। পুরো উপজেলায় চারা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আশা করি, এটা কিছুটা সময়সাপেক্ষ চারা প্রস্তুত করা যাবে। কৃষকদের মাঠপর্যায়ে এ বিষয়ে বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, আমাদের চলতি রোপা আমন ধানের চারা সংকটের কারণে চারার চাহিদা জোগান দেওয়ার জন্য কৃষকরা পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে প্রণোদনাও দেওয়া হয়েছে। আশা করি, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। সংবাদ প্রকাশঃ =১৮-৯-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments