সিটিভি নিউজ।। নিজস্ব সংবাদদাতা জানান== অপরাধীর শাস্তি হোক- এমনটা সকল সচেতন মানুষই কামনা করে থাকেন। অপরাধীর শাস্তি না হলে সমাজে অপরাধ বৃদ্ধিপাবে। পক্ষান্তরে কোন নিরপরাধ মানুষের শাস্তি হোক এটাও কারো কাম্যনয়। কোন নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হেনস্থার কুমানষিকতায় মামলা হলে এটাকে সাধারণ মানুষ আরেকটি অন্যায় বলে মনে করে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হবার পর সারা দেশে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে সাধারণ মানুষের প্রতি হামলা আহত নিহতের ঘঠনায় বিচার না পাওয়ায় এখন বিচার দাবী করে মামলা হচ্ছে। এই সব মামলার এজহারে বেশীর ভাগই আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ শ্রমিকলীগ স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কর্মীদের নাম রয়েছে। আর এই সুযুগে এসব মামলায় রাজনীতি করেননা এমন নিরপরাধ কিছু মানুষকে আসামীর তালিকায় দেখা গেছে। এদেরই একজন হলেন কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও এলাকার সম্ভান্ত পরিবারের সন্তান সমাজ সেবক কাজী শারমীন আউয়াল পারভেজ বাপ্পী।বাপ্পীর বাবা মা দুজনেই ছিলেন সরকারী কলেজের প্রফেসর। এসব মামলার এজহারে বাপ্পীর নাম দেখে এলাকার সাধারণ সচেতন মানুষ ও সাংবাদিকগণ বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। খোজ খবর নিয়ে জানাযায়, আজ থেকে প্রায় ২৪ আগে বাপ্পী ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র। বাপ্পী কলেজে লেখাপড়া করা কালীণসময়ে কুমিল্লা শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি ব্যবসা বানিজ্য ও সামাজিক কাজকর্মে এবং এতিম শিশুদের কল্যাণে ও ভালবাসায় মনোনিবেশ করেন। বাপ্পীকে যারা ভালোকরে চিনেন তারা জানেন তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত একজন মানুষ হলেও কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহারের অনুসারী ছিলেন না। ২০০৯সালে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলেও তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। বিগত ২৪ বছর তিনি আওয়ামীলীগের কোন মিছিল মিটিংয়ে অংশ নেননি। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর কে বা কারা গণহারে হওয়া মামলাগুলোতে বাপ্পীর নাম ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এটা দূঃখ জনক এবং মামলাটি বিতর্কিত হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীগণ। বাপ্পীর বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা মামলার নিন্দা জানিয়েছেন সমাজের সচেতন মানুষ। সাধারণ মানুষ মনে করেন প্রকৃত অপরাধীদের শান্তি হোক। এতে সমাজে শান্তি শৃংখলা ও সমাজে ভাতৃত্ব সৃষ্টি হবে। কোন নিরপরাধ মানুষকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে হেনস্থার লক্ষে কোন মিথ্যা মামলা করা উচিত নয়।