Tuesday, December 3, 2024
spot_img
More

    সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে আবারও বেড়েছে চালের দাম

    সিটিভি নিউজ।। মোহাম্মদ আককাস আলী :সংবাদদাতা জানান ==সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে আবারও বেড়েছে চালের দাম। অস্থিরতা বিরাজ করছে চালের বাজারে। দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। ত্রাণ বিতরণে পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ক্রেতারা বলছেন, মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী বাজারে সিন্ডিকেট করতে চালের মজুদ করেছেন। তারাই এখন চালের কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। আর একারণে প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম।
    হাট-বাজারগুলোতে দেখা গেছে, মোটা মানের স্বর্ণা, রঞ্জিত ও হাইব্রিড চাল ৬০-৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগে ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারী মানের বিআর-২৮ ও ২৯ চালের কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। বিআর ২৮ জাতের চাল আগে ৫৭-৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা দাম বেড়ে ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত দুই সপ্তাহ আগেও ৫০ কেজির বস্তা কাটারিভোগ চালের দাম ছিলো ৩০০০ হাজার টাকা। এখন তা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ চালের দাম বাড়ার পেছনে অসাধু মিল মালিক ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দায়ী। পাইকারি ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম,মিলন শীলসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সদ্য বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। তাই ধান-চালের সংকট নেই। বন্যা ও ত্রাণের অজুহাতে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা ধান-চাল মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিদিনই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। অভিযোগে প্রকাশ, বেশিরভাগ অটোরাইস মিল মালিকরা উত্তরাঞ্চলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অটোরাইস মিলের সংখ্যা এখন পাঁচ শতাধিক। এছাড়াও সেমি অটো হাস্কিং মিলের সংখ্যা কমবেশি ৪০ হাজার। এসব মিলের উৎপাদিত চালের একটা অংশ অগ্রিম পেমেন্টে কিনে নেয় ২-৩টি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ। ফলে চালের বাজার স্বাভাবিক সরবরাহের কমবেশির ওপর মূল্য নির্ধারণ হয় না। চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন এই সিন্ডিকেট সদস্যরা। উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রতিবছর আমন, আউশ ও বোরো মৌসুমে উৎপাদন হয় সোয়া ১ কোটি মেট্রিক টন চাল। এই অঞ্চলের চাহিদার মিটিয়েও আরও প্রায় ৮০ লাখ মেট্রিন চাল উদ্বৃত্ত থাকে। কিন্তুু এই উদ্বৃত্ত ধান কোথায় কীভাবে বিক্রি হয় সেই তথ্য মিলাররা কখনো প্রকাশ করেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সোয়া ২ কোটি মেট্রিক টন চালের চাহিদার বিপরীতে যে পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়, তাতে অল্প পরিমাণ চাল ঘাটতি থাকে। এই ঘাটতিকে পুঁজি করেই সিন্ডিকেট সদস্যরা চালের বাজারকে অস্থিতিশীল করেন কোনো ইস্যু পেলেই। যার ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। সংবাদ প্রকাশঃ =০৭-৯-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments