সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন,সঙবাদদাতা জানান =====
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন গোমতীর বাঁধ ভাঙ্গায় সৃষ্ট বন্যার ফলে উপজেলার ৫টি , ব্রাহ্মনপাড়ার ৮টিছাড়াও আদর্শ সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের কমপক্ষে দু’শতাধিক গ্রামের বেশ কটি এলাকায় মঙ্গলবার রাত থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ভরাসার,,পূর্বহুরা,সোনাইসার,রামনগর গ্রাম ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এসময় দুর্গত অনেকেই বাড়ি ফিরতে ব্যাকুল হয়ে উঠতে দেখা যায়। তারা চাচ্ছেন চাল,ডালসহ নগদ অর্থ।
বুড়িচংয়ের বুড়িবুড়িয়া গ্রামের পাশে গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধটি ২২ আগষ্ট ভেঙ্গে যাওয়ার পর ষোলনল, পীরযাত্রাপুর,বুড়িচং সদর, রাজাুর,বাকশীমুলছাড়াও ব্রাহ্মনপাড়ার মালাপাড়া, সাহেবাবাদ,শশীদল,ব্রাহ্মনপাড়া সদর, দুলালপুর,শিদলাই,চান্দলা,মাধবপুর এবং সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের কমপক্ষে দু’শতাধিক গ্রামের প্রায় দু’লক্ষাধিক দুর্গত মানুষ। এসময় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন উঁচু ভবন ছাড়াও বুড়িচংয়ের ৩৭ এবং ব্রাহ্মনপাড়ার ২৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থরা আশ্রয় নেয়। সরকারী-বেসরকারী,স্বেচ্ছাসেবী,ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাসা-বাড়ি,আশ্রয় কেন্দ্রের দুর্গতদেও সাহায্যে এগিয়ে আসে অনেকেই। গতকাল বুধবার পর্যন্ত সরকারীভাবে বুড়িচং উপজেলায় নগদ ১ লাখ টাকা, ২০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। একইভাবে পাশ^বর্তী ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার ৭১টি গ্রামের দুর্গতদের মাঝে নগদ ২ লাখ টাকা ও ৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। গত ক’দিন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রসহ বাসা-বাড়িতে ঠাঁই নেওয়া বানবাসী মানুষদেও থেকে পাওয়া এবং বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া ত্রান কার্যক্রমের পাওয়া তথ্যে জানা যায়, সরকারীভাবে দুর্গতদেও মাঝে বিতরণের জন্য ত্রান সামগ্রীর পরিমান সামান্য হলেও বেসরকারী পর্যায়ে বিতরণকৃত সাহায্যেও পরিমান অনেক। মালাপাড়া,ভরাসারসহ কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন প্রচুর পরিমানে শুকনো খাবার ও পানি রেখে গেছেন বরাদ্দের জন্য। ব্রাহ্মনপাড়ার আসাদনগর এলাকায় দেওয়ান আব্দুল মজিদ কলেজের আশ্রয় কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন তাদের কাছে ত্রান দিয়ে যাচ্ছেন বিতরণের জন্য। একইভাবে বুড়িচংয়ের কংশনগর বাজারের বেরী বাঁধ সংলগ্ন গোমতী নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালের সামনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ের লোকেরা তাদের ত্রান সামগ্রী রেখে যাচ্ছেন। ভরাসার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,সোনারবাংলা কলেজ,বুড়িচং সদরের আনন্দ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,বাকশীমুল কালিকাপুর আব্দুল মতিন সরকারী কলেজ এর আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দুর্গত মানুষের সাথে কথা বললে সেখানে ক্ষতিগ্রস্থ অনেকেই জানান, পানি নামতে শুরু করায় আমরা বাসা-বাড়িতে ফিরার স্বপ্ন দেখছি। আমাদের এমুহুর্তে চাল,ডালের সাথে প্রয়োজন নগদ অর্থ সাহায্যের। অনেকের ঘর-বাড়ি থেকে ধ্বংসস্তুপের চিহ্ন ফুটে উঠায় হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ দুর্গতদের নগদ অর্থসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের আহবান জানান। বুড়িচং ও ব্রাহ্মনপাড়ার সামগ্রীক বন্যা পরিস্থিতি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদ্বয় যথাক্রমে সাহিদা আক্তার ও স.ম.আজহারুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্থ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে। কোথাও কোন সমস্যা নেই। ত্রান বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল থেকে সামান্য করে পানি কমতে শুরু হয়েছে বলেও তারা জানান। সংবাদ প্রকাশঃ =২৯-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=