সিটিভি নিউজ।। মোঃ অপু খান চৌধুরী।। সংবাদদাতা জানান ======
মানুষ মানুষের জন্যে/ জীবন জীবনের জন্যে।’ যুগ যুগ ধরে ভূপেন হাজারিকার এই গানটি
মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। এই গানের মতোই বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া তথা সারা বাংলাদেশের বন্যার্তদের মাঝে দল মত নির্বিশেষে সাধারণ জনগণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলায় বন্যা কবোলিত মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ বিতরণ চলছে চোখে পড়ার মতো। কে হিন্দু কে মুসলিম সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে আমরা সবাই মানুষ। মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মিরপুর সড়ক হয়ে শতশত ত্রাণের গাড়ি ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলায় প্রবেশ করছে। ত্রাণ নিয়ে আসা কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অনেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী, ময়মনসিংহ এমনকি বগুড়া থেকেও এসেছেন। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলার আশেপাশে যে সকল উপজেলায় বন্যা হয় নাই সে সকল উপজেলার প্রতিটি গ্রাম থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এসব ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, তেল, খাবার স্যালাইন, লবণ, বিশুদ্ধ পানি, চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ নানা ধরনের শুকনো খাবার, উরস্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ঔষধ। এছাড়া অনেকে রান্না করা খাবার প্যাকেটের মাধ্যমে বিতরণ করছে। বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীগণ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিভিন্ন সংগঠনের ত্রাণ সামগ্রী প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত তাদেরকে সাথে নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে।
বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে আগত ডাক্তার ও নার্সরা স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন চিকিৎসা দিচ্ছেন। আশ্রয়ন কেন্দ্র টাটেরা রেহানউদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা, সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ, ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, প্রফেসর সেকান্দর আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ধান্যদৌল আব্দুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ধুশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন আশ্রয়নে তারা স্বাস্থ্যগত সেবা দিচ্ছেন ও ফ্রী ঔষধ সরবরাহ করছেন।
অন্য যেকোনো দুর্যোগের চেয়ে এ বছর মানুষ একাট্টা হয়ে কাজ করছে। বিশেষ করে দলীয় পরিচয় বাদ দিয়ে ছাত্রদের উপস্থিতি সর্বজনীন রূপে হাজির হয়েছে। ছাত্র জনতা, রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যেগে বন্যা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আশ্রয়নে শুকনা খাবার ও খিচুরী বিতরণ করছেন। অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যেগে উদ্ধার তৎপরতার জন্য নৌকা বা স্পিডবোটের ব্যবস্থা করেছেন।
ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলার আশেপাশের গ্রাম গুলোতে নতুন করে বন্যার পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবোলিত মানুষের জন্য দীর্ঘদিন ত্রাণ লাগবে। সেটা বিতরণে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করা জরুরি।সমন্বিত ভাবে যদি ত্রাণ বিতরণ না করা হয় দেখা যাচ্ছে এক অঞ্চলের মানুষ বেশি ত্রাণ পাচ্ছে, আবার কোনো কোনো জায়গার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন করা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের বিষয়। তাই সমন্বিত পরিকল্পনা জরুরী। সংবাদ প্রকাশঃ ২৮-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=