Wednesday, November 13, 2024
spot_img
More

    চৌদ্দগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের আগমনে বন্যার্ত মানুষের ক্ষোভ!

    সিটিভি নিউজ।। ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানি এবং অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। ২২শে আগষ্টের ভয়ংকর কালোরাতের আগেরদিন ও পরদিন চৌদ্দগ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করে। উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ধোড়করা আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত ৭-৮ শতাধিক মানুষ অবস্থান করে। এখানে মুসলমানদের পাশাপাশি বেশকিছু হিন্দু পরিবারও আশ্রয় গ্রহণ করে।
    ২৮শে আগষ্ট দুপুরে সরেজমিনে ধোড়করা আশ্রয়কেন্দ্রে গেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, গত ২২শে আগষ্টের পর তারা চিওড়া ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু তাহের মজুমদার থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা পান নাই। এ নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হলে ২৬শে আগষ্ট সকালে চেয়ারম্যান কিছু পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। এসময় আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের তোপের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান আবু তাহের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
    ইউনিয়নেরর সাঙ্গিশ^র গ্রামের লতিফা বেগম জানান, গত ২২শে আগষ্ট পরিবার নিয়ে এই আশ্রয়কেন্দ্রে আসি। আজ মঙ্গলবার চেয়ারম্যান মুরি এবং ১প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে আমাদের দেখতে আসেন। আশ্রয়কেন্দ্রের বয়োবৃদ্ধ মহিলা হালিমা বেগম বলেন, চেয়ারম্যান একদিন এসে দেখে গেছে। আমাদের খাবার, ঔষধ প্রদানে এ এলাকার স্বেচ্ছাসেবী ছেলেরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
    শাকতলা গ্রামের প্রদীপ কুমার বলেন, আমাদের সকল দায়িত্ব সাধারন মানুষ পালন করছে। আমরা বাড়িতে কিংবা এখানে সরকারী কোন সহযোগীতা পাইনি। শাকতলা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ মহিলা হোসনেয়ারা বলেন, ২২শে আগষ্টের পর থেকে আমরা কোন সরকারী ত্রাণ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ত্রাণ পাই নাই। আজ মঙ্গলবার চেয়ারম্যান কিছু চিড়া মুরি ও শুকনো বাটার বন নিয়ে আসে। আমরা বাড়িতে না থাকায় সামাজিক কোন সংগঠনের ত্রাণও পাই নাই। তাই চেয়ারম্যান আসায় অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়। পাশ^বর্তী নেতড়া পশ্চিমপাড়ার রোকসানা জানান, চক্ষুলজ্জায় চেয়ারম্যান আবু তাহের আজকে কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা চেয়ারম্যান থেকে কোন সহযোগীতা পাইনি।
    ধোড়করা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবক শফিউল ইসলাম জিয়া বলেন, এই আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার কোন সহযোগীতা করেনি। এই দুর্যোগেও তাদের কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়।
    স্থানীয় ইউপি সচিব রুহুল আমিন জানান, চলমান দুর্যোগে আমরা ৩টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এর মধ্যে ২টন চাল রাজনৈতিক নেতারা বিতরণ করবে বলে নিয়ে গেছে।
    ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বরাদ্দকৃত ২টন চাল রাজনৈতিক নেতারা বিতরণের জন্য নিয়ে গেছে। তারা কোথায় দিয়েছে জানি না। আশ্রয়কেন্দ্রের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সাধ্যমতো আজ মঙ্গলবার সহযোগীতা করেছি। সংবাদ প্রকাশঃ =২৮-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments