Wednesday, November 13, 2024
spot_img
More

    গোমতীর ভাঙ্গন- নদীতে কমছে পানি,প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা

    সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন,সংবাদদাতা জানান ===
    কুমিল্লা বুড়িচংয়ের বুড়বুড়িয়া গ্রামে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গার তৃতীয় দিনে পানির তীব্রতা কমে আসলেও বুড়িচং ও পাশ^বর্তী ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার অনেক গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারী-বেসরকারীসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রান বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের অভাবে কার্যত বহুস্থানে দুর্গতদের মাঝে সেগুলো পৌঁছাচ্ছে না।
    বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে বহে যাওয়া গোমতীর বাঁধটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভাঙ্গার পরে মূলত গোমতী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন বুড়িচং উপজেলার পূর্ব-উত্তর অংশের ৫টি ইউনিয়নের সবকটিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরেজমিন উপজেলার ষোলনল,বুড়িচং সদর ও বাকশীমুল ইউনিয়নের বিভিন্নস্থান ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বাঁধটি ভাঙ্গার অল্প সময়েই দ্রুত প্লাবিত হতে থাকে একের পর এক গ্রাম। এসময় সকালের আগেই কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। মানুষ নিকটবর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়। কেউ কেউ গ্রামের দ্বিতলসহ উচু বাড়িতে আশ্রয় নেয়। শুরু হয় সেনাবাহিনীসহ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নানারকম সাহায্য সহযোগীতা। তবে গতকাল শনিবার রাতে পানির তীব্রতা কমে গেলেও নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শশীদল মল্লিকাদীঘির সফিক মিয়া জানান, শনিবার আমাদের এলাকা প্লাবিত হলো। একই কথা জানালো ধানৌদোল গ্রামের স্কুল শিক্ষক অপু খান চৌধুরী,নাইঘর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন , কামাল হোসেন। এদিকে বাঁধভাঙ্গার তৃতীয় দিনেও সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে বিপুল পরিমান ত্রান বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও অভিযোগ উঠেছে সরকারীভাবে সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের অভাবে স্বাভাবিকভাবে ত্রান বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে অপেক্ষাকৃত উচুঁস্থানগুলোতে দুরদুরান্ত থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবীরা পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে একইস্থানে বারবার ত্রান বিতরণের চিত্র ফুঁটে উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থ শিকারপুর গ্রামের দেলোয়ার,কামাল,সাইফুল প্রমুখ জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর অবস্থান জানা না থাকায় দুরদুরান্তের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনেকেই অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অথবা চলার পথে যে আশ্রয় কেন্দ্রগুৃলো চোঁখে পড়ছে সেখানে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে চলে যাচ্ছে। বুড়িচংয়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্যদেও সাহায্যে গতকাল পর্যন্ত সেনাবাহিনী, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব),উপজেলা প্রশাসন,ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি,স্কাউটস্, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্যক্তিগত সাহায্যছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দল বেঁধে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে দুর্গতদের মাছে বিতরণ করছে। স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ত্রান বিতরণে আসা অনেকেই এই প্রতিবেদক কে জানান, প্রথমত অপরিচিত স্থান সেই সাথে নৌযানের সংকটে আমরা অধিক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতে ত্রান বিতরন করতে পারছি না। এদিকে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন থাকায় খাবার পানির তীব্রসংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ব্যবহার্য পানির অভাবও প্রকট। তাছাড়া মোবাইল ফোন চার্জ দিতে না পেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাজার পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোঃ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, বাঁধ ভাঙ্গার পর থেকে বুড়িচংয়ের ৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি গোমতীর পানি ধীরে ধীরে কমে আসছে বলে জানান। তবে ঝুঁকিতে না এটা বলা যাচ্ছে না। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদা আক্তার নৌযান সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, অনেকেই প্রচুর পরিমান ত্রান সামগ্রী নিয়ে নৌযানের কারনে দুর্গতদের মাঝে পৌঁছাতে পারছেন না। এঅবস্থায় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হাতে ত্রান হস্তান্তরের অনুরোধ জানান। সংবাদ প্রকাশঃ =২৬-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=

    আরো সংবাদ পড়ুন

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -
    Google search engine

    সর্বশেষ সংবাদ

    Recent Comments