সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন,ব্রাহ্মনপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ============
কুমিল্লার প্রধান নদী গোমতীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙ্গার পর পানি দ্রুত পাশ^বর্তী পীরযাত্রাপুর,বুড়িচং সদর,বাকশীমুল,রাজাপুর ইউৃনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম ভোর হওয়ার আগেই প্লাবিত হয়ে যায়। এসময় অনেক মানুষ নিরাপদ আশয়ে স্থানীয় কলেজ-স্কুল-মাদ্রাসাসহ উচু ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয়। গতকাল বিকেলে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কমপক্ষে অর্ধসহ¯্রাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে। এসময় তাদেও বিভিন্ন বাহিনী ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট,শুকনো খাবার ও খিচুড়ী বিতরন করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে বারটায় বুড়বুড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ভোর হওয়ার আগেই নানুয়ারবাজার,ইন্দ্রভূতি,শিবরামপুর,গোপিনাথপুর,বেড়াজাল,শিকারপুর,মিথিলাপুর,খাড়াতাইয়া,গাজিপুর,নোয়াপাড়া,রামনগর,পূর্বহুরা,কাহেতরা,বালিখাড়া,কামারখাড়া,শিমাইলখাড়া,কোসাইয়াম,ভান্তি,ভরাসার,গোবিন্দপুর, ইছাপুরা,সদর রাসুলপুরসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়। এসময় পানি প্রান বাঁচাতে বিভিন্নস্থানের স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাসহ ব্যক্তিমালিকানাধীন উচু বাড়ি-ঘওে আশ্রয় নিতে ছুটে যায়। বিগত কয়েকদিন ধওে টানা বৃষ্টিতে এমনিতেই ঝুঁকিপুর্ন ছিল বুড়িচং উপজেলার একাধিক স্থানের গোমতীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। এতে পূর্ব থেকেই অনেকে বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়ে নেয়। তাছাড়া গবাদি পশুসহ মুল্যবান মালামাল রক্ষার চিন্তায় বেশীর ভাগ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাসা-বাড়িতে থেকে যাওয়ায় বাঁধ ভাঙ্গার খবরে তাদেও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। এদিকে ঘটনার পরপরই ভাঙ্গন কবলিত বুড়বুড়িয়াসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ শুরু করলে তাদেও সাহায্যার্থে সহযোগীতার হাত বাড়ায় ফায়ার সার্ভিস,রেডক্রিসেন্ট,উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার তৎপরতাসহ শুকনো খাবার, খিচুড়ি,্্চিকিৎসা সামগ্রী,পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট নিয়ে দুর্গতদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। বেশ কিছুস্থানে মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়লে মোবাইল ফোনে সাহায্যের আবেদনে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্পীড বোট,নৌকা নিয়ে এগিয়ে আসে। সরকারী-বেসরকারী,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও দল বেধে দুর্গতদের পাশে দাড়ায়। এদিকে বেলা যত বাড়তে থাকে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাঁধ ভাঙ্গা পানি পাশ^বর্তী ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ , মালাপাড়া,ব্রাহ্মনপাড়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুত্র জানায়। নদী ভাঙ্গনের ফলে বুড়িচং উপজেলার বিভিন্নস্থানে ইতঃমধ্যে অনেক মুরগী ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান। বুড়িচংয়ের বাঁধ ভাঙ্গা এবং সার্বিক পরিস্থি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদা আক্তার জানান, ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্থ।আশ্রীত ও বিভিন্নস্থানের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার,পানি বিশুদ্ধ করণ টেবলেট্ ওৗষধ বিতরণ করা হচ্ছে। এসময় তিনি আরো বলেন, ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। সংবাদ প্রকাশঃ =২৪-৮-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন= =আরো বিস্তারিত জানতে কমেন্টসে লিংকে ক্লিক করুন=